কাকরাইল মোড়ে যে মেয়েটা গালে-ঠোঁটে
রং মেখে কুপি হাতে দাঁড়িয়ে থাকে
আজ থেকে ১১বছর আগে
তার ছিলো এক জনশূন্য বিরাণভূমি
তার আবাদি দায়িত্ব পেয়েছিলো
২২ বছরের এক আনাড়ি কিশোর
অদক্ষ কৃষকের আনাড়ি হাতের ছোয়ায়
ভরে উঠেছিলো ফুলে ও ফসলে
কঠোর ও কঠিন পরিশ্রমে
জন্মিয়েছিলো তৃন থেকে ছায়াময় প্রকান্ড বট
এমন কষ্ট এমন পরিশ্রম সে জন্মেও করেনি
অল্প কদিনেই যেন আরো সবুজ
আরো সতেজ করে তুললো প্রতঙ্গগুলোকে
২২ বছরের সেই ছেলেটি
যেন একটি আবাসন ফিরে পেল
জমিতে একটা পুকুরও কাটলো
তার আদরমাখা স্বচ্ছ জলে
নিজেকে আমরণ সপে দিতো
ভাসিয়ে দিত যত স্থাবর-অস্থাবর
চাঁদ চোয়ানো ঝিল-মিল জলে
অঙ্গগুলো পুড়িয়ে নিয়েছে বহুবার
ছেলেটি স্বপ্ন দেখতো বেঁচে থাকার
শুধুই একলা একা
আজ এগারো বছর পর
দায়িত্বচ্যুত সেই ছেলেটি ৩৩’র যুবক
কিন্তু সে একা, গৃহহীন একলা পথিক
এতো দিনে বহু জল গড়িয়েছে
পুকুরেও শ্যাওলা ধরেছে
জনশুণ্য বিরানভূমি এখন বিস্তির্ণ জনপদ
মানুষের মাথাওয়ালা কাগুজে হিসেবে
মেলে সাময়িক আবাসন
পিপাসার্তের তৃষ্ণা মেটায় শ্যাওলা পুকুর
যেখানে লেন-দেনগুলো হৃদয়ের নয়
শুধুই কাগজে আর শরীরে
২৫-১১-১৫
রাত ১.২০