আমি কবি কিনা নিজেকে এমন প্রশ্নে
স্মৃতির পাতা খুঁজতে খুঁজতে পেলাম
অম্ল বিধুরা শব্দ গুচ্ছ আমাকে
চোখের পলকে অবারিত করে সালাম।
ভাবি এতো দিন তোমাদের দিকে নিপুণ
ভাবে নিসর্গ দৃষ্টি দেই নি কখনো
অবহেলা পেয়ে কত অনাদরে কেটেছে
দুস্ত প্রিয়ার মত চেয়ে আছো তখনো।
কুল ভেঙে গেছে নিঠুর বন্যার পানিতে
সর্বস্ব যে হারায়েছে মাঝি কুটির
বুকের পাঁজরে গাঁথা আছে কত শব্দ
ভাবতে বসেছে খানাপিনা আর রুটির।
বিধবার বুকে হাহাকার ভেসে এনেছে
এক বালুচর অতৃপ্ত ভরা নয়ন
অস্ফুট স্বরে নিযুত ফাটলের ধ্বনি
কাতর বিছানা জড়ায় করেছে শয়ন।
আমার শব্দ বস্তির অলি গলিতে
দুঃখ করেছে বিহার সীমান্ত ছেড়ে-
পালাতে পারেনি গড়েছে পঙ্গুর মত
বাসস্থানের ধুলিমাখা পথ ঝেড়ে।
পাহাড়ের ঢালে আড়ালে হারিয়ে যাওয়া
আমার প্রেমের শব্দ গুচ্ছ গভীর-
সন্যাসী পথ খুঁজে পাওয়ায় প্রিয়ার
অধরের সাদ ভুলে গেছে এই কবির -
স্মৃতিতে আমার নিরব দৃষ্টি ফেলেছে
লুকানো ব্যথার শব্দ গুচ্ছ যে নদী
ধারায় জেগেছে একশ আইন কানুন
ভেঙে নিয়ে যাব আমার প্রাণের সে গদি।




[৬+৬+৩ মাত্রাবৃত্ত ]