এই কর - সেই কর - মাল নামা - মাল ওঠা
সারাদিন হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে
ক্লান্ত শরীরে ঘাম মুছতে মুছতে
রাস্তার ফুটপাত ধরে ফিরছে ডেকোরেশন দোকানের মজুর রফিকুল।
সূর্যের তাপে যতটা না মগজ গলে
ঋণের সুদ আর সমবায় সমিতির দশজোরা চোখের পাকরানিতে বুদ্ধি পুঁচকে হয়ে আসে।
সোসাইটির প্রভূদের প্রতি মাসে মিটিং বসে
থাকে প্রতিমাসেই বিয়ে জন্ম দিন চিল
খাওয়ার আয়োজন হলে ডেকোরেশনের হাঁড়ি পাতিল নিয়ে আসে রফিকুল।
রাজভোগ বিরিয়ানি কিংবা রসকলি রোস্টে কখনো কামড় দিতে পারিনি ওর দাঁত
বাসায় ফিরে পান্তা ভাতে পেঁয়াজের শরীরে কামড়াতে কামড়াতে পেয়েছে পোলাওয়ের গন্ধ তাঁর সক্রিয় নাক।
একটি ঝুপড়ির ভাঙা ঘরে পড়ে থাকে
সোসাইটির কোনায় রাস্তার বাঁকে
খাওয়ার পাতের উচ্ছিষ্টের মতো।
তবুও হৃদয় বেঁচে থাকে
গর্বে ফুলে ওঠে প্রতিটা রাতে
একসানকি পান্তা ভাতে
পেঁয়াজের শরীরে অসংখ্য কামড় বসাতে বসাতে
পায়ের ওপর পা রেখে হুকুম করে
" একটা মরিচ নিয়ে আয় তো বউ"।
শাসন চলে তাঁর রাজ্যে
তাঁরও রয়েছে এক উচ্ছিষ্ট প্রজা।