ইচ্ছে হয় ফিরি আবার সহস্র স্মৃতির সেই শৈশবে,
ছায়াঘেরা মায়াময় নিভৃত ঘন সবুজ প্রান্তরে-
যেখানে হারিয়ে এসেছি
ধুলো খেলার স্মৃত-বিস্মৃত সকল বেলা আর অবেলা ।
ইচ্ছে হয় বসি ক্ষণকাল সেই পায়ে চলা মেঠো পথের পাশে
যেখানে দোল খায় মটর লতা বসন্তের সমীরণে,
ইচ্ছে হয় নিবিষ্ট মনে বসে থাকি সেই শাপলা দীঘির পাড়ে
যেখানে ব্যাঙেরা লুকিয়ে খেলে শেওলার ফাঁকে ফাঁকে।
ইচ্ছে হয় বসি নির্জনে সেই কবেকার অশ্বত্থের স্নিগ্ধ ছায়াতলে,
যেখানে অবিরত পাখিদের কলতান আর পাতার মর্মর ধ্বনি
ধ্বনিতেছে অবিরাম এক চিরচেনা সঙ্গীতের অবারিত মুর্ছনায়;
শুধু ইচ্ছে হয়
ছুটে যাই সেই অশ্বত্থ তলে, সেই মায়াময় অন্তরালে
যেখানে মিশে আছে প্রকৃতি এক মহামিলনের সন্ধিক্ষণে ।
ইচ্ছে হয় খুঁজে পাই কৈশোরের সেইসব খেলার সাথীদের,
খেলি চোখবাঁধা, গোল্লাছুট আর সাঁতার কাটি সেই শালুকের ঝিলে।
শুধু ইচ্ছে হয় ছুটে যাই সেই মায়াবী প্রকৃতির কোলে,
যেখানে নেই কোন দ্বন্দ্ব;
যেখানে চাঁদনী রাতে ঝোপের আড়ালে লুকোনো
আর খুঁজে পাওয়ার সে কি আনন্দ !
এত সব ইচ্ছে পূরণের তরে বারেক ফিরেছি সেথা
কিন্তু নিষ্ফল প্রত্যাশা!
এ সকল শুধু মনের আকুতি, কিম্বা হৃদয়ের ব্যাকুলতা?
কেননা সেই মন আর এই মন কখনও এক মন নয়,
আসলে এসব স্মৃতিচারণেই দেখা মেলে, বাস্তবে নয়।