শিক্ষকতা এক মহান পেশা।
একজন শিক্ষকই- দেখাতে পারে, সঠিক পথের দিশা।
ছাত্র ছাত্রীদের জীবন-তরীর সে কাণ্ডারী।
ঝড় ঝঞ্ঝায়,শক্ত হাতে পৌঁছে দেয়-
অভীষ্ট গন্তব্যে, ওদের জীবন-তরী।

ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনে, শিক্ষক ধরা দেয় নানা রূপে।
কখনও বা স্নেহময়ী মাতৃ রূপা,
কখনও বা দন্ডধারী পিতা।
কখনও বা সে রক্ষক,
কখনও বা সমাজ সংস্কারক।
কখনও বা সে পথ প্রদর্শক।
এভাবেই সে- গড়ে তোলে দেশের ভবিষ্যৎ,
নব-প্রজন্মকে দেখায়, নব যুগের আলোকবর্তিকা।
হয়ে ওঠে সে নব যুগের স্রষ্টা।

আজ যত দেখো, ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার- বিজ্ঞানী উকিল -
ওরা সবাই- কিন্তু শিক্ষকদের এক একটি দলিল।
শিক্ষকই সমাজের মেরুদণ্ড,
আর এই শিড়দাঁড়াটা শক্ত হলেই-
কোনো- দেশ, কোনো- সমাজ, দাঁড়াতে পারে-
মাথা উঁচু করে- বিশ্বের দরবারে।

একজন আদর্শ শিক্ষকই পৌঁছে দেয়-
প্রাণে শিক্ষার পূর্ণ-জ্যোতি।
উন্মুক্ত করে দেয় বদ্ধ- মন।
চেতনা ও জ্ঞানের আলোয় করে,
মনের গহীন- অন্ধকারের অবসান ।
একজন মানুষের, প্রকৃত- মানুষে উত্তরণ।
তাই ছাত্র ছাত্রীদের স্বীকৃতি স্মারকই হয়ে ওঠে-
একজন শিক্ষকের শিক্ষকতা জীবনের প্রকৃত মূল্যায়ন।