আমরা চলেছি -
কলকাতা থেকে গুজরাত।
কখনও নভোশ্চারী ,
কখনো বা হই পদচারি।
যেন কোন্ ফিনিক্সের -
ডানায় ভর করি ,
এক লহমায় দিলাম পাড়ি ।
মাধ্যাকর্ষণের সব -
শক্তিকে উপেক্ষা করি ,
পৌঁছে গেলাম- দেবরাজ ইন্দ্রপুরী।।
মাঝে-মাঝে দৃশ্যমান হয় ধরিত্রী ,
যেন ক্যানভাসে আঁকা -
শিল্পীর হাতের এক নিপুণ ছবি।
হঠাৎই স্বপ্নের ঘোর ভেঙে ,
কানে এল - এক মোহময়ী কণ্ঠ।
আমাদের জানিয়ে দিল -
আমরা আর নই ইন্দ্রপুরী।
চোখ মেলে দেখলাম ,
আমরা আছি আমাদের সেই -
চেনা মাটিতেই।
আমরা চলেছি শকটে ,
পার হয়ে চলেছি কত -
সবুজে ঘেরা বনানী ,
কত- দিগন্ত বিস্তৃত জলরাশি ।
কত- পর্বত ঘেরা মহাতীর্থ ,
কত- ধূসর মরুভূমি।।
আমরা চলেছি...
আমরা চলেছি ...
এভাবেই আমরা গেলাম পৌঁছে ,
জামনগরের কোরাল ,অক্টোপাস -
আর সী-অ্যানিমনের দেশে।।
অক্টোপাস- তার সমস্ত শক্তি দিয়ে ,
জড়িয়ে ধরে আমাদের হাত -
জানাল উষ্ণ-সুপ্রভাত।।
আর ওই পাফার ফিস্ !
চোখ পাকিয়ে গোল্লা -
বললো, তোরা করিস কেন হল্লা ?
আর, ওই ছোট্টো স্টার ফিস্ -
বললো কানে ফিস্ ফিস্ ,
শুধু তোমাদেরই জন্য -
আমাদের অস্তিত্ব আজ বিপন্ন।।
আর কোরাল -
ওরা তো আজ- প্রায় বিরল ,
আমাদের নিষ্ঠুর পদাঘাত -
ওদের করেছে ক্ষত- বিক্ষত দিন রাত।।
আমরা চলেছি ...
আমরা চলেছি ...
এভাবেই- আমরা কিনছি খুশি -
কিনছি খুশি, নিত্য-দিনে ।
ওদের- ছোট্টো প্রানের দামে ।
ওদের- প্রানের দামে।।