হোক না করোনা ! হোক না মহামারী !
যতই আসুক অতিমারী,
বছরে তো ক'টা দিনই -
মা - আসবেন বাপরে বাড়ি!
তার জন্য তো, বছরের একটা দিন -
করতেই হয় একটু আধটু পুজো- মার্কেটিং।
কিন্তু, পুজোর সব- কেনাকাটা ,
কলকাতার বিপনী ছাড়া -
একদমই যে পছন্দ করে না বাড়ির বাচ্চারা !
তাই মফস্বল শহর থেকে-
পুজোর বাজার করতে ,
বাচ্চাদের'কে সঙ্গে নিয়ে -
আসতেই হল কলকাতাতে।
যদিও, তাদের অনেকেরই মাস্ক নেই মুখে ।
কারোর বা আছে ,তবে থুতুনিতে ঝুলছে ।
আসলে যা গরম পরেছে, তাতে নাক- মুখ ঢেকে -
মাস্ক পরে ,ওদের যে দম বন্ধ হয়ে আসছে !
একই বিপনীতে বদ্ধ জায়গাতে ,
একজনের ঘাড়ের উপর আরেকজন কথা বলছে।
কোথায় দূরত্ব-বিধি মানছে ?
মানুষ যেন উন্মাদ আজ -
জীবনের মূল্যে নতুন বস্ত্র পরতে !
এরপর তো রয়েছে -
ঠাকুর দেখা, সিঁদুর খেলা ,
পাড়ায় পাড়ায় পঙক্তি ভোজ ,
বিচিত্রানুষ্ঠান, মেলা।
তারই সঙ্গে রয়েছে আবার-
ঋতুর পরিবর্তনও শীতের আগমন ।
ফলে একই সঙ্গে আসবে নানা মরশুমি রোগ ,
ও করোনার সাঁড়াশি আক্রমণ।
কিন্তু এখানে প্রশ্ন হল, আমাদের ইচ্ছের -
পৃথিবী আনন্দময় যার চিত্তে যা লয়।
আমরা ঘর বন্দি থাকব না।
আমরা মাস্ক পরব না।
প্যান্ডেল হপিং করব।
মাস্ক খুলে জমিয়ে আড্ডা মারব।
এসবই আমাদের ইচ্ছে !
এই ইচ্ছেতে বাঁধ সাধবে কে?
তবে হ্যাঁ-
এই লাগামহীন আনন্দ ফুর্তির শেষে,
কোভিড্ সুনামি যদি- আছড়ে পড়ে অবশেষে ,
হাজার হাজার মানুষ তখন হাজির হবে -
হাসপাতালে রোগের নানা উপসর্গ নিয়ে।
তখন হাসপাতালগুলোতে শয্যার অপ্রতুলতায়,
কিট-পতঙ্গের মতো মরবে মানুষ বিনা চিকিৎসায়।
তখন,ডাক্তার- সিস্টার- ল্যাবটেকনিশিয়ানরা ,
তাদের সমস্ত ছুটি বাতিল করে -
বাধ্য হবেন কাজ করে যেতে ।
তাদেরই সেবায়, দিন-রাত এক করে।
শুধুমাত্র তাদেরই কোনো ইচ্ছে নেই ।
কোনো চয়েস নেই।
শুধুমাত্র একদল মানুষের ইচ্ছের মূল্যে-
ইচ্ছের সমাধি হবে আর একদলের।
তাদের কোনো ইচ্ছে নেই !
তাদের কোনো ইচ্ছে থাকতে নেই !
তারা যে ডাক্তার !
তারা যে সিস্টার !
তারা ল্যাবটেকনিশিয়ান, তারা জমাদার।
তারা আইনের রক্ষক ,
তারা যে অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার!