।। সিন্দুক।।
। পিয়ালী চ্যাটার্জী।
আজকাল বেশ গুছিয়ে কথা বলো তুমি
লেখার হাতটাও আগের থেকে পাকা,
যেন চিত্রপটে ছবি আঁকা কোনো অতীত মন!
ভাবি সারাক্ষণ এত ভাষা কোথায় ছিলো রাখা!
খনি থেকে বেরিয়ে আসা নতুন কোনো হীরে
যেমন ঘষে মেজে জ্বলে ওঠে ধীরে ধীরে
হয় নারীর অলঙ্কার কানে হাতে কিংবা গলার হার,
ঠিক তেমনি অলঙ্কৃত লেখার ভাষাগুলো
যেন নতুন করে জ্বলে উঠে জমে থাকা ধুলো
সরিয়ে ভেসে ওঠে অতীত,নাকি ভবিষ্যৎ!
জেগে ওঠে লুকিয়ে থাকা অভিমান,পুরনো গভীর ক্ষত।
হীরে,সে যে কাঁচ কাটা হীরে! মনটা চিড়ে
খুঁজে নিতে পারে অনায়াসে গভীর কোনো অতীত
ছোটো তার কাছে হারজিত,কিছু না ভেবে
ভেঙে দেবে চোখের ভাষার ঢেউ
তাতে ভাসে ভাসুক অন্য কেউ,তুমি ভেসোনা।
খুলোনা দরজাকবাট উন্মুক্ত সবার কাছে,
একটাই অনুরোধ আছে,এভাবেই গোপন রেখো
চিরদিন ভাষাগুলো,দেখো যেন হারিয়ে না যায়
যেমন করে হারায় হাজার দিনের ঘুম
কোনো এক রাতনিঝুম বাঁকা চাঁদের সাথে
বলা কথাগুলো শুধু যেন তুমিই জানো।
এমন কোনো সিন্দুক খুঁজে এনো যেখানে
অতীত ভবিষ্যৎ থাকবে সুরক্ষিত চিরকাল,
সেই সিন্দুক শুধু জ্বলবে চিতার আগুনে
অসময়ে আসা কোনো ফাগুনে যেখানে
মিলবে দুটো হাত কোনো পরলোকে।