।।শীতলপাটির দুপুর।।
।পিয়ালী চ্যাটার্জী।
গরম দুপুর হাল্কা পাখা ঘোরে
জোরে ঘোরার দমটা হারায় মাঝে,
লোডশেডিংএর চাপটা আছে সাথে,
ঘড়ির কাঁটায় সাড়ে তিনটে বাজে!
ফেরিওয়ালা হাঁকিয়ে গলা জোরে
দুপুরবেলার ঘুম ভাঙিয়ে গেলো!
তপ্ত ছাদে দূরের আকাশ ফাঁকা,
শঙ্খচিলে উড়ছে এলোমেলো!
পাশেরবাড়ির দুষ্টু ছেলের দল
লুকিয়ে ওঠে চিলেকোঠার ছাদে,
যুদ্ধ বাঁধার ফন্দি আঁটে মনে
ঘুড়ি লাটাই মাঞ্জা নিয়ে হাতে।
তেষ্টা মেটায় মাটির কুঁজোর জল,
তালপাখাতে ঠান্ডা করে মাথা!
তপ্ত দূপুর কাজের মানুষ ছোটে
মাথার নিয়ে লম্বা কালো ছাতা।
খড়খড়িটার ঝাঁপ নামানো আধো,
একটু আলো কাঠের জানলা ফাঁকে,
ঠাকুমা তখন পানটা নিয়ে মুখে,
মেঝেয় এলায় শীতলপাটিটাকে।
লাল গামছা চপচপিয়ে ভেজা,
গা টা মুছে মাথার কাছে রাখা,
কড়িবরগা কাঁপছে কখন থেকে,
ঘটরঘটর ঘুরছে ডি.সি পাখা।
কলিংবেলের দিন আসেনি তখন,
শব্দ শুধু দরজা কড়া নাড়া,
গ্রীষ্ম দুপুর খিল এটেছে লোকে,
ভাতঘুমেতে ঢুলছে নিঝুম পাড়া।
কার্নিশেতে পায়রাগুলোও ঢোলে,
কাকের পায়ে দুলছে এ্যান্টেনা!
ভাবছ কিসব বলছি আবোলতাবোল!
এসব ছবি একটুও কি চেনা?
( ৯/৬/২০১৭)