।। মুক্তো হার।।
। পিয়ালী চ্যাটার্জী।
সকাল থেকে রাইকিশোরীর মুখটা ভার,
কাল ছিঁড়েছে রাইয়ের গলার মুক্তোহার,
নতুন মালা দেবে কানাই আজ কিনে,
কানুর কাছে রাইয়ের ছিলো এ আবদার।
কানুর মাথায় বিশ্বজগৎ এ সংসার!
হারের কথা মনে করায়, সাধ্য কার!
কিন্তু রাইয়ের মান টাও বা কম কিসে!
ভোরের বাঁশীর সুর তুলেছে মান ভাঙার।
বুদ্ধি করে চলছে কানাই যে আজকাল
বাঁশীর সুরে বানাচ্ছে ঢাল তরোয়াল,
শব্দ চয়ন হচ্ছে আরো সাবধানি,
নইলে কানুর করবে যে রাই করুণ হাল!
ঘুরছে মগজ জটিল কথার মারপ্যাঁচে
তবুও যেন সত্যিকথার আঁচ আছে!
সন্দেহটা হচ্ছে যেন খুব গভীর!
পরলে ধরা ঠিক হাতকড়া রাই কাছে।
ভাবছে কানাই ডুবে ডুবে জল খাবে!
চতুরতায় রাইয়ের কাছে পার পাবে!
মৎসরাণী রাইবাঘিনী তুখর সে,
কথার প্যাঁচে ঠিক কানু কে আটকাবে।
"ভোরের বাঁশী বাজলো যেন কোন সুরে!"
কানাই বলে..
"দুষ্টু রাখাল বাজায় বাঁশী ওই দূরে
গরুরপালে সবুজমাঠে ধানক্ষেতে,
তারই বাঁশী বাজছে রাইয়ের কান জুড়ে!
সব সুরেতেই আমায় করো কল্পনা!
রাইয়ের উপর সন্দেহটাও অল্প না! "
রাই বলে"ডাকো রাখাল একটিবার,
বাজাক বাঁশী,থামবে সবার জল্পনা "।
কানাই বলে..
"আমিও তো খুঁজছি রাখাল কোনখানে!
সে ই জানে তার বাঁশীর সুরের কি মানে!"
রাই বলে..
" নতুন করে চিনব কি আজ কানুর সুর?
প্রতি কথার হিসাব রাইয়ের মন জানে।
আসল কথা কানাই বলো একটিবার,
কোথায় আমার গলার নতুন মুক্তো হার?"
কানহা হেসে দুহাত জড়ায় রাই গলায়,
"থাকতে আমি মুক্তো দেওয়ার সাধ্য কার!"
( ৪/৫/২০১৭)