আজকাল বড় ভয় লাগে।
মনের ভেতরে ভয়,
মনের বাইরে ভয়।
নিজের অস্তিত্বের ভয়,
অন্যের উপস্থিতির ভয়।
লাল ভয়, নীল ভয়
সবুজ কিংবা গেরুয়া ভয়।
হরেক রকম ভয়ের মিশেল;
ভয় টা বাড়ছে দিন দিন।
ধীরে ধীরে ভয় ঢুকছে বিবেক,
বুদ্ধি, অস্থি মজ্জায়।
বেঁচে থাকার ভয়,
না বেঁচে থাকার ভয়।
মেঘের ভয়, রৌদ্রের ভয়
বজ্রপাতের ভয় আবার
বিনা মেঘে বজ্রপাতের ভয়;
সব যেন মিলেমিশে একাকার।
সেদিন রং নিয়ে কথা কাটাকাটি
জবাবের অপেক্ষা না করেই
রক্তাক্ত মানবতা।
গলার কাছে ভয়ের দলা নিয়ে
পাশ কাটিয়ে যাই।
আমার সাহস নেই বুক দিয়ে
আগলাই বিপন্ন মানবতা।
গুড়িয়ে দেওয়া উপাসনাস্থলের
পাশ দিয়ে চোখ বন্ধ করে হেঁটে
যাই পাশ কাটিয়ে।
যাই কুঁকড়ে যাওয়া বিবেকটা কে সঙ্গে করে
নীরবে নিস্তব্দে।
সমাজ জুড়ে প্রতিশোধের তৃপ্তি।
চোখের বদলে চোখ নিতে নিতে
হয়তবা কোন একদিন অন্ধের পৃথিবী তৈরী হবে।
সবাই এখন অন্য রকম।
নাকি আমি ই অপাংক্তেয়?
দলবদ্ধ পুকুর চুরি আজ নিয়মসিদ্ধ।
একমুঠো খাবার চুরির অপরাধে
গণপ্রহারে মত্ত জনতার পাশ কাটিয়ে যাই।
গ্রীষ্মের দাবদাহে ভয়ের শৈত্য
আমাকে কাঁপিয় দেয়।
এই সর্বগ্রাসী ভয় ই রাষ্ট্র যন্ত্রের ক্ষমতার হাতিয়ার
এই জাকিয়ে বসা ভয়,
ঘরের অন্ধকার কোণে নিরাপত্তা খোঁজে একাকী!
কিন্তু তাতেও কি ভয় মুক্তি হয়।
আগে জানতাম, "সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই"
কিন্তু এখন, "সবার উপরে ভয় সত্য, তাহার উপরে নাই"---