এই যান্ত্রিক সভ্যতায়, আজকের শিশুরাও যেন মনের অজান্তেই ,এক একজন চলমান রোবট হয়ে উঠেছে। ইঁদুর দৌড়ের সমাজ ব্যবস্থায় আর অবৈজ্ঞানিক শিক্ষা ব্যবস্থা ছিনিয়ে নিয়েছে শৈশবের মাধুর্য, কৈশরের স্বপ্ন, তাই আজকে শিশু দিবসে আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।।
******************************
******************************
ছোট্ট গলির শেষ বাড়িটায়, শেষ জানালার পাশে;
উদাস মুখো, সেই ছেলেটার, গল্প বলা আছে।
আমকুড়োনো, গোল্লাছুট, ডুব সাঁতারের দেশে
সেই ছেলেটি যায়নি কভু স্বপ্ন ভালোবেসে।
খেজুর পাতার ঘুরন চরকি,রথের মেলার গজা,
এই কখানা জিনিস চাওয়া মস্ত বড় সাজা।
রূপকথার রাক্ষসেরা, কিংবা চাঁদের বুড়ি
ওর মনেতে আসে না কভু ,দেয়না সুড়সুড়ি।
শৈশব নেই,কৈশর নেই, শুধু বইয়ের বোঝা;
বোঝা বয়ে স্বপ্ন দেখা ,নয়তো এত সোজা।
ব্যস্ত বাবা,ব্যস্ত মা,ব্যস্ত প্রিয়জন
খুঁজে ফিরে 'টিভি রিমোটে',নিজের আপনজন।
খেলাধুলা,নেই যে তার, মাঠ যে অনেক দূরে,
কম্পিউটার আর স্মার্টফোনেতে মন উঠেছে ভরে।
নতুন যুগের মানুষ ওরা সবাই প্রথম হবে
ইঁদুর দৌড়ে "স্বপ্নগুলো" পিছেই পড়ে রবে।