শর শয্যায় একাকী মহামতি ভীষ্ম ডাকি, শুধাইল হে অর্জুন, "তব বাণে কর মোর তৃষ্ণা নিবারণ"।
ভীষ্ম লাগি ছুড়িল বাণ ভূতলে,তির বেগে গঙ্গা আসি মিটাইল তৃষ্ণা সযতনে।
উদ্বিগ্ন চিত্ত তৃষ্ণা মিটাইবে কেমনে, শুধাইল অর্জুন,"হে মহামতি ,কুরুক্ষেত্র অধিপতি ছিল কি প্রয়োজন এই যুদ্ধ?"
কিবা মোহ হেতু ,নিলে কঠিন ব্রত, দেবব্রত হইল ভীষ্ম।
পাইলে তুমি বর, ধন্য ধন্য করে সবে ,পুষ্পবৃষ্টি করে দেবতা সকল।
হইল যশ , হইল কীর্তি, স্থাপনা হইল 'দেশের সর্বনাশের মূর্তি '।
নৃপতি যদি হইতে তুমি , হইতো কি এমন যুদ্ধ মহান পণ কি দিল তোমায়, শর শয্যায় শয়ানে কি হিত হইল বসুধায়।
পিতার কামনা হেতু ,করিলে ত্যাগের সদম্ভ ঘোষনা তখনই করিলে নীরবে শর শয্যা রচনা।
সারাজীবন অনুগত ,রাজকর্তব্য হেতু ,করিলে অবিরত ধৃতরাষ্ট্র -দুর্যোধন সনে বাস, করিলে পাপান্ন গ্রহন বিবেকের করিলে সর্বনাশ।
দ্রৌপদী র বস্ত্র হরণ ,করিলে অবলোকন ,নির্লিপ্ত মস্তক করি নীচু। সেই ক্ষণে হইল সমাপ্ত তব কীর্তি অবণত দুর্লঙ্ঘ্য প্রতিজ্ঞা হেতু।
অহংকার এর দাসত্ব সনে হইলা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ
ক্ষমতা হইল অক্ষমতা, মহানুভবতা হইল ম্রিয়মান
তুমি ই স্রষ্টা কুরুক্ষেত্রর ,শর শয্যা যার পরিণাম।।