নিজেকে আজ কাল আর চিনতে পারি না।
নিজের অস্তিত্বের মধ্যে নিজেকে গুটাতে গুটাতে ,
কেমন যেন শরীর টা শামুকের মতো লাগে।
আজ কাল দেশটাকে কেমন যেন অচেনা মনে হয়।
যারা দেশের কথা বলে কিংবা ভাবে তারা দেশদ্রোহী।
যারা দেশের উন্নয়ন জলাঞ্জলি দিয়ে নিজের উন্নয়নে মত্ত তারাই প্রকৃত দেশপ্রেমিক।
বড্ড কষ্ট হয় যখন দেখি ,
দেশটাকে খুবলে খাচ্ছে হিংস্র হায়নার দল।
প্রতিবাদের ভাষা নিথর হয়ে যায় ওদের হাসিতে।
আমরাই ওদের ধারক বাহক,
পাঁচ থেকে দশ, দশ থেকে পনের বছর বা তারও বেশী সময় ধরে দেশটাকে উপঢৌকন হিসেবে তুলে দেই ওদের হাতে।
কোনও সময় ফিরেও তাকাই না।
কোনও সময় জানতেও চাই না দেশটা কেমন আছে।
সত্যি দেশটা আমাদের আছে তো?
এভাবে চলতে চলতে একদিন দেশ বলে কিছু থাকে না।
শুধু পড়ে থাকে ক্ষমতা।
সেই ক্ষমতায় জনগণের কোন অস্তিত্ব থাকে না।
থাকে শুধু শোষনের দুর্ভেদ্য প্রাচীর।
দেশ আর জনগণের পরিণতি ক্ষমতার দাবার ঘুঁটি।
যদি হিসেব চাও তবে গুলি খাবে।
যদি প্রতিবাদ কর তবে ভেসে যাবে।
এভাবে আর কতদিন?
আর কতদিন শিকল বদ্ধ গণতন্ত্রের আর্তনাদ ছড়িয়ে
পড়বে আকাশে বাতাসে..
"আমাকে মুক্তি দাও...... "
আমার কোন বিশেষ নেতা নেত্রীর প্রয়োজন নেই।
সাধারণ মানুষই একমাত্র নেতা , সাধারণ মানুষের।
যাদের ঘাম আর রক্তের বিনিময়ে তৈরী হয়েছে আমার শরীর।
যেখানে মিশে আছে আমার অস্তিত্ব.....

( সমস্ত পৃথিবীর সেই সকল সাধারণ মানুষের জন্য যারা নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় আজও লড়াই করে যাচ্ছে শাসকের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে। )