দুটি পাতা, একটি কুঁড়ি, তুলে আনা হাত গুলি
আঁকড়ে ধরেছে হাতুড়ি।
উপত্যকার সবুজ বাগান অজানায় নেমে এসেছে
শীর্ণ নদীর বুকে।
আঙুলের কারসাজি নয়, গায়ের জোরে পাথর
ভেঙ্গে ভরছে পেট।
কালকের খেত-উঠোন-ধানের গোলায়
কাঁটা তারের বেড়া।
তবুওস্মৃতির সরণি ধরে হেঁটে চলা অতীত অভিমুখে।
সেই রেলপথ,সেই গ্রাম, সেই বিশাল জমিদার বাড়ি
কেউ শুধু টিকে আছে, বদলেছে চেহারা।
সকালের স্নিগ্ধ পরিবেশে কাছের মানুষ ও মনে হয়
অচেনা।
ফেলে আসা সম্পর্কের মেঘ,ঢেকে দেয় যাবতীয়
প্রীতি।
অসহ্য মানসিক টানাপোড়েন গোলাপের দেহে
লাগিয়ে দেয় কালো রঙের প্রলেপ।
জীবন হয়ে উঠে "ছায়াবৃত্ত"।
অভাবের সঙ্গে অসমযুদ্ধে নিজের রূপ ছেড়ে
মানুষ হয়ে উঠে "বহুরূপী"।
"ছায়াবৃত্ত গোলাপ বাগান" আর "বহুরূপী''
হয়ে উঠে একে অন্যের পরিপূরক।।