বিষন্ন রাত,নিরবে একা , নিস্তব্ধ এ যাত্রা
মহাকালের আশির্বাদ আর চাদের পূর্ণ মাত্রা
হাতছানি দেয় নিশাচর, হাত বাড়ায় মায়া
দূর থেকেও যেন ভেসে ওঠে মমতাময়ী ছায়া

অদূর রাস্তা ,বসে একা , নিরবে লিখি পথের পাচালী
চাদের মিটিমিটি আলো, আলোকময় ছায়ায় আসে
মৃত মানুষের চিঠি ,,চিঠি জুড়ে হাহাকার,

অব্যক্তরূপে প্রকাশিত হয় আবেগ
ঘড়ে ফেরার নেই আজ তোরজোড়
গন্তব্যহীন স্টেশন , দূরপাল্লার গাড়ি
ছটফটানি আর সীমাবদ্ধ আহাজারি ।।

তোমার মন ,তার গতি রাত ,১৭ পৃষ্ঠার কাব্য
চলছে সময়, ছুটছে গাড়ি ,তবু কেন নিস্তব্ধ
একটি রাত, কয়েকটি প্রহর ,অপেক্ষার ক্ষণ মাত্রা
দেশ থেকে  আজ দেশান্তর , থামায় কে এ যাত্রা  

নিস্তব্ধতা চাপা পড়ে আসে উত্তেজিত মন
ক্ষণকালের আভাস লক্ষ্য করে বিদ্রোহী জীবন
রণ ক্ষেত্রের রণবানী ভাসে কানে সদা
তবু মন যেন পড়ে রয়, মমতাময়ীর শেষ কথায়।

গতি রাত দিব্যি পাড়ি জমবে, জমবে ক্ষণকাল
শেষ অধ্যায়ে দাড়িয়ে ,মৃত মানুষের কঙ্কাল
চিঠি টি আজ নিসঙ্গ প্রায় , সময়ের প্রতিকূলে
নিশাচরী আজ ভয় দেখায়, ছলে-বলে-কৌশলে।।

থমকে হঠাৎ মধ্য রাত, হীন আকাশে মেঘ
এক কোটি বছর,তার ক্রান্তি লগণ,অপেক্ষার নেই শেষ।
বিষন্ন রাত,, নিরবে একা ,,নিস্তব্ধ এ যাত্রা
মহাকাল আজ কেন মৃত্যু উৎপাদন কারখানা।

বিষন্নতা -দীর্ঘশ্বাস , স্বজোরে চিৎকার
১৭পৃষ্ঠার ইতি, উপন্যাসের উপসংহার 🌸