সেদিন আলো আঁধারের লুকোচুরির রাতে,
তার সাথে দেখা হয়েছিল।
চেনামুখের আড়ালে অচেনা একজন মনে হয়েছিল তাকে।
তার চোখের চাওনিতে অদ্ভুত এক স্বপ্ন জড়ানো ছিল!
তার গালের লালে ডুবন্ত সূর্যের লাল মাখানো
তার মনের গভিরে অজানা নাবিকের গভীর সমুদ্রে পথহারানোর অস্বস্তি!
সে লুকোতে চেয়েছিল, ঘন বনের ঘন অন্ধকারে।
সারি সারি পাইন গাছের ভিড়ে সে সযত্নে বুকে তুলেছে লুটিয়েপরা আঁচল!
সে কি নিজের কাছে নিজেকে লুকোতে চেয়েছিল?
তার শাড়িতে রাঢ়মাটির প্রলেপ,
তার উদাস চেহারায় কোথাও এক অভিমান উঁকি দিয়েছে ,
সে প্রান ভরে মাটির গন্ধ নিয়েছে!
সে সেই মেয়ে, যার খোঁজ পাওয়া যায় নি কত দিন ,
ওরা কি হারিয়ে যায়, না ওদের হারিয়ে যেতে হয়!
তবু কি কোন চোখ তার দেখা পায়নি কখনো !
কত বার কত অন্ধকার পথে, সে হারিয়েছে অচেনার আবরনে।
তার দেখা পেয়েছি মেরিনা বিচের বালির চাদরে ,
তার দেখা পেয়ে কতবার হারিয়েছি বাবু ঘাটের গঙ্গাপাড়ে শিউলিগাছের নিচে ।
সে হারিয়ে গিয়েছিল কত বার,কত চেনা মোড়ে
সে হারিয়ে ফেলেছে নিজেকে!
সেদিন হঠাৎ জলভরা কালো মেঘ
কোথা থেকে উড়ে এসে ভিজিয়ে গেল তোমাকে!
তুমি নিজেকে ভেজা চুলে লুকিয়ে রেখেছ গাছের আড়ালে!
কত বার কত জানা বোঝার বাইরে কতভাবে বুঝতে চেয়েছি তোমাকে।
তুমি কি সেই তুমি? তুমি কি ক্লান্ত ?
নিজেকে নিজের কাছে লুকিয়ে রাখতে রাখতে
তুমি কি সত্যিই হারিয়ে গিয়েছ?