কবিতা   তোমাকে  দেখেছি  কতবার  কত পথ হারানো পথিকের সাথে  
কত শত হাতের ছোঁয়াতে,তুমি কত চকচকে রঙিন।
তুমি দেশ,কাল ভুখন্ড সময় সব কিছু বুকে আগলে রেখেছো
কখনো তোমাকে দির্ঘশ্বাস নিতে দেখিনি।
কবিতা  তোমার স্বাধীনতায় লুকিয়ে কবির পূর্ন স্বাধীনতা।
কথাটি অন্যরকম শোনাচ্ছে!তাই কি কানে বাঁধে শব্দ ধ্বনি গুলো?

কোন শব্দ কি ভাবে কোথায় নাড়া দেবে
সেটাই কবি আর কবিতার গোপন  বোঝা পড়ার হিসেব নিকেষ!
কবির সাথে  কবিতার দেওয়া নেওয়া লুকিয়ে আছে অদৃশ্য বন্ধনে!
তুমি হেসেছিলে ,কবি এবৎ কবিতার মাঝে বন্ধন শুনে,
তুমি বলেছিলে  এভাবেও ভাবা যায়।
কবি তার কবিতার রঙে কতটুকু মন মাতাবে
কতটুকু মনের ক্ষিদেয় খাবার জোগাবে
সব কিছুই কবির নিজের, একান্ত নিজের।
তুমি এ যুগের কবি তুমি আধুনিক ,
তোমার শব্দ চয়ন তোমার অভিব্যক্তিতে
কোথাও কেও শিকল পড়াতে পারে না।
এখানেই কি তোমার পুর্ন স্বাধীনতা লুকিয়ে?

তুমি কল্পনার রেখা চিত্রে কোথায় কতটুকু দাগ দেবে
সরু মোটা সবটাই তোমার উপর।
তুমি প্রাচীন,মধ্য,আধুনিক যুগের রঙ মেখেছো,  
কত কবির কত সুক্ষ্য পেনের ছোওযায় নাড়া দিয়েছে
তোমার শরীর মন!
কালের বিচার তোমাকে টুকরো টুকরো করেছে!
তোমার লক্ষ্য কখনো পথ হারাই নি ,
তুমি কবির মনের কথা পাঠকের কাছে তুলে দিয়েছিলে
কত রঙ বেরঙের কাগজ মুডিয়ে।

কবি তুমি স্বাধীন , তোমার চলার পথে কত শত বাঁধা
কিন্তু কোন পিছুটান নেই ,কেও তোমাকে শক্ত শিকলে বাঁধতে পারেনি।
আজ ও তুমি শব্দ সাজাও নিজের খেয়ালে,
দাড়ি,কমা  পুন্যছেদ ওসবের তুমি তোয়াক্কা করো না।
তবু কেন আজও তোমার বলার মাঋে,
অনেক না বলা থাকে?
এ কেই কি  বলে অদৃশ্য কোন এক চুক্তি?