আজ সকাল থেকে ওরা বেশি ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে, না ভোটের কোন ব্যাপার না।
এমএলএ কাল রাতে বেশ কিছু টাকা গুঁজে দিয়েছে ।
আজ নজরুল জয়ন্তী পালন করতে হবে।
দীঘির পাড়ে, অবনী দের মাঠে অনুষ্ঠান,
মাঠ ভরাতে হবে সন্ধে বেলা এম এল এ আসবে।
বাড়তি কিছু টাকা লাগলে সেটা দিয়ে দেবে বলেছে !
এত অল্প সময়ে এত সব আয়োজন,
তবে ভরসা একটাই একসান বাহিনী আছে ওরাই এ যাত্রা উতরে দেবে।
ওদের সাথে বাইক থাকে অস্ত্রও খুব একটা কম নেই তাই ম্যানেজমেন্ট হয়ে যাবে।বিরোধীরা কেও বেগরবা করলে দেখে নেবে!
গান কবিতা ওসবের জন্য স্কুলের হেডমাস্টারকে বলে দেওয়া হয়েছে ,
সমস্যা রাতের খাওয়ানোতে ,
গরম খিচুড়ির সাথে লাবডা মিলে মিশে একাকার না হয়!
এম.এল.এ বলা শেষ করলে, রাতের খাওয়া সেডে সবাই বাড়ি ফিরবে।
নজরুলের বিদ্রোহী কবিতা টি পাঠ হবে ঠিক যখন এম এল এ মাঠে পা রাখবে ।
“সাহিত্যে নজরুল ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি “ এ নিয়ে বলার জন্য কাকে খুঁজে পাই ,
তাই ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি নিজেই এ বিষয়ে বলবে বলেছে !
গান কবিতা এসব চলবে পর পর।
পাড়ায় মাইকে প্রচার চলছে , খিচুড়ির কথা বেশি করে বলা হচ্ছে,
শুনেই মনে হচ্ছে কাজু কিসমিস গোবিন্দ ভোগ চাল দারুন জমবে।
সব ধর্মের মানুষের ভিড যেন থাকে সেটা সিরিয়াস দেখতে হবে ।
সব কিছু ঠিক ঠাক মিটিয়ে রাতে জমজমাট পার্টি, মদ মাংস যতখুশি চলবে ।
এতো গেল আমাদের ব্যাপার ।
দাদা বলেছে জনগণ কি বলে সেটা একটু বুঝতে হবে মানুষের মন বোঝা দরকার ।
নজরুল জয়ন্তী না খিচুড়ি কোনটার স্বাদ জমপেস হয় সেটাই দেখার।