খুব কাছ থেকে কত কিছুই দেখেছো,
কখনো সীমান্তের কাঁটাতারের বাঁধনের  গিঁট দেখছো কি?
কাঁটাতারের বেড়ার খুব কাছে,
বর্ডারের পাশে একদিন তোমাকে দেখেছি!
তুমি উদাস চোখে কিছু একটা খুঁজছিলে
ভারত -বাংলাদেশ বর্ডারের বুকের উপর
কাটাতারের সেলাই দেখেছি হিলির মাটিতে!
কারা যেন মাটির বুকচিরে দুটুকরো করে দিয়েছে,
কিন্তু মন, সে কোন বাঁধা মানে না,  তাই  সে  তোমাই খোঁজে ।

তোমাকে অনেক কথা বলার ছিল
শুধু তোমার জন্য কত কথা লুকানো আছে
নোম্যানস ল্যান্ডে বুড়ো খেজুর গাছের গুঁড়ির ভিতরে।
সে কোনো এক সকালে, কাঠঠোকরা  গুঁড়ির মধ্যে বাসা বাঁধে,
ওর কোন খবর কেউ পাওনি,
ওর যত্ননা কখনো কি বুঝতে চেয়েছি?
কত দিন ওর কাঁঠ ঠোকরানোর শব্দ শুনিনি।
ঐ দুই জোড়া শালিক যারা রান্না ঘড়ের চালে ঝগড়া করতো ,
ঘুম ভাঙা চোখে ওদের কত বার দেখেছি,জোডা শালিক দেখলে দিন ভালো যায় কি?
কত দিন ওদের খুঁজিনি!

তখন সন্ধ্যা গড়িয়ে বিকেল হওয়ার মুখে
এপার বাংলা ওপার বাংলার পাখিরা কাঁটাতারের উপর দিয়ে যে যার ঘরে ফিরছে ।
ওদের  কোন দেশ কোন কাঁটাতারের বাঁধন আটকাতে পারে না!
ওরা  আমার উদাস চেহারা দেখেছে,
ওদের আমি কিছু বলতে চেয়েছি , ওরা ক্লান্ত।
ওদের ঘরে ফেরার তারা চোখ মুখে ফুটে উঠেছে!
ওরা আমাকে বলেছিল কোন এক দিনের আলোয় অনেক কথা বলবে ।
ওরা আমার পাগল পাগল মন দেখে বলেছিল ,
ভালোবাসার কোন দেশ হয় না,
কোন যুগ কোন কাল কোন বন্ধন ভালোবাসা আটকাতে পারে না !
তখনও কাঁটাতারের বাঁধনের গিট গুলো জ্বল জ্বল করছিল চোখের সামনে।