সেদিন সবাই হাততালি দিয়েছিল , ওরা হয়তো আমার কবিতার অর্থ বুঝেছিল!
আমি কিন্তু কিছুই বুঝিনি শুধু অনেক অনেক প্রশ্নের ডালি ছুড়ে মেরেছিলাম মাত্র ।
সভাস্থলের পাশদিযে যে হনহনিয়ে ছুটে গেল, একরাশ বিরক্তি ভরে তিরস্কার করে হারিয়ে গেল হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে!
তাকে কখনো সেভাবে খুঁজিনি তো!
অনেকের মুখে মুখে আমার কবিতা ঘোরাফেরা করলেও কেন সে আমার কবিতার পাতা উল্টাছে না?
কেন সে বুকে আকডে ধরেনি কবিতার বই?
আমার কল্পনার কাজ্যে কোথাও কি ওর অভিমান উঁকি দিচ্ছে রাতের আঁধারে মুখ ঢেকে!
আজ অনেক বছর পর লিখছি , তোমার মতো করে তোমার কথাই ভাবছি।
তোমার ঘামে ভেজা শরীরে মুক্তোর দানার মতো জলের ছিটে!
তোমার চোখে মুখে প্রত্যাশার একরাশ সতেজ ফুল।
তোমার জন্য আমার লেখা, এ লেখাতেই সার্থকতা লুকিয়ে!
তুমি অফিস ফেরত ক্লান্ত ! ভিড় বাসে চিড়ে চ্যাপটা।
তুমি ৬টা৫মিনিটের বারাসাত লোকালের কামরায় গুতোগুতি করছো,তোমাকে কতবার দেখেছি কত কাছথেকে !
তোমার জন্যই কবিতা।
দমদম ষ্টেশনে প্রচন্ড ভিড় কামরা ভর্তি লোক।
তুমি তোমার সম্ভ্রম বাঁচাতে আটোসাটো, পাছে কোন লোলুপ হাত তোমার শরীর স্পর্শ করে।
তোমার ঘডে সন্ধ্যা প্রদীপ হাতে তোমার মা, তোমার অপেক্ষায় ।
আজ সে শঙ্ক বাজাতে পারে নি, হাঁপানির জ্বালায় শ্বাসবন্ধ হয়ে আসছে!
তোমার ট্রেন বারাসাত ষ্টেশনে ঢুকছে।
তুমি কি আজও আমার কবিতা পড়বে না?
আমার হাতে আঁকা তোমার চেনা জানা প্রতিদিনের ছবি তুমি দেখবে না?