নাগরিক সমাজ রোজ নিয়ম করে মিছিল করে না
কথায় কথায় শাসকের কালো হাত ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও বলে চেঁচিয়ে উঠে না।
ওরা তুলোর মতো তুলতুলে টুকরো মেঘের আকাশের বুকে ভেসে বেড়ানোতে মনভরিযে নেই।
ওরা প্রকৃতির সাথে কত কথা বলে !
আমি সেই মানুষটিকে জানি ,
যে হালকা বৃষ্টি ভেজা সবুজ জঙ্গলে এক শালিক দেখে দিন খারাপের ভয়ে জোড়া শালিক খোঁজে ।
সে মানুষ যখন রাস্তায় তখন সে লড়াই থামানোর সাধ্য কার।
নাগরিক সমাজ রোজ নিয়ম করে মিছিল করে না
কথায় কথায় শাসকের কালো হাত ভেঙ্গে দাও গুঁডিয়ে দাও বলে চেঁচিয়ে ওঠে না!
ওদের অনেকেই ছাপোশা, লাজুক ওরা শান্তি প্রিয় কিন্তু ওরা ভীতু নন।
ওরা মেরুদন্ড সোজা করে বাঁচতে চাই ।
ওদের মুখে একটাই আওয়াজ আর. জি . কর কান্ডের বিচার চাই।
তিলোত্তমা যে তার বোন তার মেয়ে সে তার ঘড়ের , কি করে চুপ থাকতে পারে?
ওরা মিছিল ডাকে না,একে অপরের পায়ে পা মেলানোতে মিছিলের শব্দ তৈরী হয় !
কোন প্রশাসনের চোখ রাঙানি ওদের আটকাতে পারে না।
এ লড়াই তখনই শেষ হবে , যখন তিলোত্তমার খুনিদের চরম পরিনতি অপরাধীদের অপরাধ করার আগে হাজার বার ভাবাবে।
খুনিদের বেড়েওঠার বিজ অঙ্কুরেই নির্মুল করতে বদ্ধপরিকর হবে শাসক।
নতুন করে আর কোন বোন কে অকালে হারিয়ে যেতে হবে না।
সেদিন দুর আকাশের বহুদূর থেকে তিলোত্তমা বলবে আমি পেরেছি হাজার হাজার তিলোত্তমাকে বাঁচাতে। সেদিন সবার অলক্ষে নাগরিক সমাজ নাম না জানা বাউলের সুরে সুর মেলাবে।
রাতের অন্ধকার মুছে যাবে বাঁচার আনন্দে।