আজ বহুদিন পর বীরেন দা কে দেখলাম,
শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে মিছিলে হাঁটছে ।
বয়সের ভারে শরীরটা বেকানো মনটা টানটান।
এভাবে এ সময়? কিন্তু কেন?
হয়তো বীরেনদাও এ উত্তর খুঁজতেই রাস্তায় ।
আমি দ্রুত হেটে পাশে আসলাম , বললাম আমি নীরেন,
আনন্দ বাজার পত্রিকা ।
বীরেন দা একভাবে চেয়ে থাকলো ,
অনেক ভেবে একটা দীর্ঘ নিশ্বাস নিয়ে বললে, মেয়ে গুলোকে বাঁচাতে হবে !
অভযার বলিদান বৃথা হতে পারে না।
আজ বহুদিন পর বীরেন দা কে দেখলাম
শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোডে মিছিলে হাটছে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালযের একদা নামজাদা অধ্যাপক ,
জীবনের অনেক চড়ায় উতরাই দেখে আজ এ কোন লড়াইয়ের মাঠে!
কোন প্রশ্নের তাড়নায় রাস্তায় ?
এ লড়াই বীরেনদার না, এ লড়াই আগামী প্রজন্মের ।
এ লড়াই মাথা তুলে মেরুদন্ড সোজা করে এগোনোর লড়াই! মাষ্টার মশাই শুধু পথ দেখাচ্ছে ,
আজ সেপ্টেম্বর পাঁচ তারিখ , আজ শিক্ষক দিবস।
বীরেন দা হেঁটে চলেছেন রাস্তার ধুলো উডিয়ে।