সেদিন পথ চলতে চলতে দেখা হয় আমার দেশের এক নেতার সাথে!
এয়ার পোর্টে, প্লেনে এক সাথে পাশা পাশি বসার সুবাদে আলাপ চারিতায় জানতে পারি তার কর্ম পরিচয়, রাজনিতী তার একমাত্র পেশা।
একটু হোঁচট খেয়েছিলাম !
প্রফেশন বলতে বিভিন্ন পেশার কথা বলি, কেও ডাক্তার কেও উকিল কেও শিক্ষক , ব‍্যাবসাদার  ইত‍্যদি ইত‍্যদি।
নেতা কিন্তু মুচকি হেসে  বলেছিল রাজনীতিই তার পেশা তার রুটি রোজগার ।
আর যাই হোক নেতার ইনোসেন্ট স্বীকারোক্তি , সেটা তো বলতেই হয়।
রাজনীতিকেই পেশা বানিয়ে  এদিক ওদিক পাশ কাটিয়ে রাজনীতিকেই নেশা বা সেবা বলা নেতাদের থেকে তো আলাদা !
সত‍্যি টা সত‍্যি বলতে কোন দ্বিধা দ্বন্দ্ব ছিল না।


সেদিন পথ চলতে চলতে দেখা হয় আমার দেশের এক নেতার সাথে!
আরও একটু এগিয়ে নেতা বলেছিলেন, আজকাল রাজনীতিতে কম্পিটিশন খুব বেড়ে গিয়েছে।
বিভিন্ন পেশার লোকের চাপ প্রচন্ড, আগে কম ইনভেস্টমেন্টেও কিছু একটা করা যেত।
আজকাল বড় অঙ্কের ইনভেস্টমেন্ট ছাড়া  এ পেশায় প্রতিষ্ঠিত হওয়া বেশ কষ্টকর।
দেখছেন না কত অভিনেতা অভিনেত্রী ওয়েটিং এ দাঁড়িয়ে , কি করবে বলুন কাজ কর্মের যা অবস্হা, সবাই তো আর সে ভাবে জায়গা করতে পারে না,কিন্তু সবাই একটু নিশ্চিন্তে থাকতে চাই।
আরো বললেন  বহু চাকুরী জীবি অবসর নেবার পর রাজনীতির লাইনে দাঁড়িয়ে আশায় আছে  দলেব বা সরকারী পদ  পাবার ।
পেনশনের টাকায় কি চলে , পদ না থাকলে উপরি কোথা থেকে আসবে বলুন?
গাড়ী বাড়ি চাকর বাকর এ সবের তো বড় একটা খরচ আছে।

সেদিন পথ চলতে চলতে দেখা হয় আমার দেশের এক নেতার সাথে!
সে ইনভেস্টমেন্ট আর লাভের অঙ্ক পাশাপাশি বসিয়ে  এটাও দেখিযেছিল  , রাজনীতির ময়দানে টিকে থাকতে পারলে একদিন মুনাফার অঙ্ক চোখে পরার মতো হবেই।
একটু বেসুরো হয়ে বলেছিলাম , রাজনীতির মুল বানী জনগনের সেবা, নিতী আদর্শ  এসবের কি হবে।
ও বলেছিল,এ সব আঁকড়ে যারা বসে আছে তারা লুপ্ত প্রায় হতে চলেছেন ,ওসব নেতাদেরই আর কিছুদিন পর সংরক্ষণ দরকার।
নাহলে ওরাও আস্তে আস্তে বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
কখন দুঘণ্টার পথ অতিক্রম করেছি বুঝতেই পারি নি ।
পাইলটের প্লেন লেনডিং এর ঘোষনা শুনে বুঝলাম , কলকাতা বিমান বন্দরে নামতে চলেছি।
নেতা তখন তার কুর্তা পাঞ্জাবী  ঠিক করে , পকেট থেকে চিরুনি বের করে মাথার চুল আঁচড়ে নিচ্ছে ।
নিচে নামার পর কর্মীদের ভিড়,
নিজের ইমেজটাও তো ঠিক রাখা চাই ।