ওরা কারা? ওদের এখানে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় কেন?
ওদের জামা ছেডাফাটা, চুল এলেমেলা
পৃথিবীর সব চিন্তা চুলেই আটকানো!
ওরা কি  অনেক অনেক কিছু চাই?  
ওদের ঘাড়ে একটা বড় বস্তা ,ওরা কি খাবার চাই?
ওরা  হাওড়া  ষ্টেশনের প্লাটফর্মে  দাঁড়িয়ে  কি  ষেন  দেখছে!
ওদের তো বয়স খুব কম, ওরা বাচ্চা ।
ওরা কি শৈশব বন্ধক রেখেছে?
ওরা  হাওড়া স্টেশন থেকে জলের বোতল প্লাস্টিক এসব কুড়িয়ে নিয়ে যায়
ওরা শিশু শ্রমিক, তবু মনে ওরা স্বাধীন
ওরা জঞ্জাল কুড়িয়ে পয়সা পাই ।

হাওড়া স্টেশনের প্লাটফর্ম নং ছয়, ওরাও ছয় ।
ওরা তিন জন মেয়ে তিনজন ছেলে ,ওরা হাসছে ওদের হাসিতে অদ্ভুত সারল্য।
ওরা পূথিবীর সব দুশ্চিন্তাকে এক নিমেষে গ্রাস করতে পারে।
ওদের মধ্যে যে সবথেকে ছোট তার চোখের চাওনি তে ভয়ানক এক প্রতিবাদ , সে কি নিজের সাথে নিজে কথা বলতে শিখেছে?

তখন দুপুরের শুরু , ভর্তি স্টেশন !
কত মানুষ কত তাদের চোখ মুখের ভাষা।
ওরা চোখ দেখে মানুষের মন পড়তে পারে।
ওদের জন্য তাড়াতাড়ি বোতলের শেষ তলানী টুকু খেয়ে নিচ্ছে মাঝ বয়সী মহিলা ,ওরা নিশ্চুপ !
ওদের কত ধৈর্য ,ওরা অপেক্ষা করতে জানে।
প্লাটফরমের এক কোনে ষারা ছবি আঁকছে তারা আর্ট কলেজের !
ওরা তাদের প্রতিটি তুলির টান একমনে দেখছে।

দুপুর গড়িয়ে চলেছে নিজের ছন্দে,ক্ষিদেয় ওদের পেট শুকিয়ে আসছে ,তবু ওরা একমনে রঙের খেলায় মত্ত ।
ওরা একসুরে চিৎকার করে বলছে , কত মানুষের কত ভাষা!
কত অভিমানে ওরা বলেছে ,তোমরা বিষয় খোঁজ মন কে খুঁজতে পার না।
ওরা জানতে চাই, 'ওদের চোখে চোখ রেখে  ভালোকরে কখনো দেখেছি কি?'


ওরা চিৎকার করতে করতে রেললাইন ধরে ছুটে চলেছে
পিঠে বস্তা ভর্তি  ফাঁকা জলের বোতল আর প্লাস্টিক ।
রেল পুলিশ লাঠি উঁচিয়ে পিছু নিয়েছে!
তবু ওরা হাসছে আজ ওরা গরম ভাত খাবে, উনুনে ধোঁয়া ওঠা গরম ভাত।