মা, তোমার অভয়াকে ওরা মারতে পারে নি!
তুমি দেখেছো তোমার কত মেয়ে রাতের আঁধার মুছে প্রতিবাদের মশাল হাতে রাস্তায়!
তুমি দেখেছো কন্ঠে কন্ঠে আগুন জ্বলছে।
তোমার অভয়া বেঁচে থাকবে প্রতিবাদের শব্দে।
কত শত মানুষের মাঝে তুমি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে।
শত শত সন্তানের জননী তোমার চোখে জল মানায় না
মা, তুমি চোখ মুছে তাকিয়ে দেখ।
মা, তোমার অভয়াকে ওরা মারতে পারে নি!
আর জি কর হাসপাতালের চার দেওয়ালে তোমার মেয়ের প্রতি দিনের নিশ্বাস গুমরে মরেছে,
যন্ত্রনা কাতর শব্দ ওরা রুদ্ধ করেছিল।
রাজনীতি আর ক্ষমতার প্রকাশ্য চুম্বন দেখতে দেখতে দিশাহারা তোমার মেয়ে সেদিন জানতো না ,
ওদেরও পরিনতির করুন কাহিনী!
কিন্ত কতদিনের জমানো প্রশ্ন সাধারণ মানুষকে শুধু ভোটার করেই রাখা যায় কি?
এ উত্তর দিতে মানুষ রাত দখল করেছে!
মা, তোমার অভয়াকে ওরা মারতে পারে নি!
ওদের সে শক্তি কোথায ?
তোমার অভয়া মানুষের মনের গভীরে স্হায়ী আসনে জায়গা নিয়েছে !
তোমার অভয়া দেশ থেকে দেশান্তর ছুটে চলেছে প্রতিবাদের ভাষা হয়ে।
যারা অমানবিক , স্বার্থান্ধ মানুষের লোভ লালসার জন্য রাজনীতির নামাবলি গায়ে জডিয়ে এ সমাজ কলুসিত করতে চাই,তাদের হাজার হাজার বার ভাবতে হবে।
মা , তুমি রাতের আকাশের উজ্বল তারার চোখে তোমার অভযাকে খুঁজছো।
শিউলি ফুলের গন্ধে ম ম করছে চারপাশ
বাতাসের ছন্দে ছন্দে কাশফুলের দোল
তোমার চোখের কোনে জল।
মা, তোমার চারপাশে জোরালো প্রতিবাদের মঞ্চে
আমি প্রতিদিন প্রতি মুহুর্ত তোমার কত কাছে!
মা, তোমার মেয়ে হাসবে ,জেতার হাসি হাসবে ।