আমি বিশ্ব পথিক
ঘুড়ি পৃথিবীর প্রান্তরে
যেখানে সিংহ বনের রাজা
আর মানুষ বেছেঁ নিয়েছে
সভ্যতার নামে শহরের কারাগার ।
আর এ কারাগারে
প্রজম্মের পর প্রজম্ম ধরে
আমি এক বন্দি।
আর এ বন্দি মায়ায় বসে দেখছি
কঙ্কন পরা এক সু-সজ্জিত  রমণী
যাকে পাবার আকাঙ্ক্ষা
আমাকে করেছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
যদিও , আমার এ সুদর্শন কালো চেহারাটা
তাকে আকর্ষণ করবে না,
তবে আমার এ কন্ঠ
ছড়িয়ে যাবে বিশ্বজুড়ে,
হিমালয়ের হিমেল বাতাসে।
তখন চীনের মহাপ্রাচীরে
এ কন্ঠে প্রতিধ্বনী,    
তোমাদেরকে  বিদ্রোহি করে তুলবে      
তোমরা টগবগিয়ে ফুঁটবে
লার্ভার আগুনের মতো।
সেদিন আসবে না তোমাদের কাছে
এর্ন্টাটিকার জমাট বদ্ধ বরফ।
সেদিন তরুণেরা জাগবে
ভেঙ্গে  ফেলবে দাসত্বের জিঞ্জিরা।
বিনিময়ে দিতে হবে    
হিমোগ্লোবিন নামক লাল বর্ণের তরল পর্দাথ।
যাকে তোমরা বল রক্ত,
আর আমি বলি স্বাধীনতা।