তোমাকে না বলেছিনু এর দ্বারা হবে না,
কঠিন কর্ম এটা ওর দ্বারা সবে না।
ভালো করে লোক খোঁজো কথাটা তো শোনোনি,
তখন না গিয়ে কথা কানে গেল এখনই।
এক দিন দেখলাম দশ খান পরটা,
ছোটো গুলো রেখে দিয়ে বেছে নিল বড়টা
সাথে নিল তরকারী ওমলেট ও ছোলা ডাল
রেগে গিয়ে বললাম এই ব্যাটা বল্লাল
কি করিস কি করিস খদ্দের খাবে কী
হোটেলে রুটি না পেয়ে খালি হাতে যাবে কী
এতকিছু বললাম তাও ব্যাটা সেয়ানা
কিছুতেই কথা গুলো কানে আর নেয় না
আরাম করিয়া বসে বামকোনে কেদারায়,
একে একে বল্লাল দশখান রুটি খায়।
আমি পুরো হতবাক এই ব্যাটা করে কি!
দশ পিস রুটি খেয়ে এই বারে মরে কি
কিন্তু না দেখলাম লাফিয়ে ঝাঁপিয়ে
চলে গেল আড়ালে মাটি টাকে কাপিয়ে।
সেইদিন ছিনু মুই পুরোপুরি হতবাক,
আজকের কাহিনীতে একদম লাগে তাক।
ডাকিয়া কহিল মোরে বাবু কোনো দরকার
আমি শুধু বললাম না রে বাবা সরকার।
এই শুনে ব্যাটাছেলে জুড়ে দিল কান্না,
ওই দিকে চলছিল ইলিশের রান্না।
আমি গিয়ে বললাম ওরে বাবা রামনাথ
দুই পিস দে ত দেখি বল্লাল বাড়া পাত।
শোন শোন এই খা এর বেশী চাস নে,
খেলে পুরো দুটো খাবি না খেলে খাস নে।
এই টুকু বলে দিয়ে আসছিনু সামনে,
কি যেন আওয়াজ শুনে আঁতকাই আপনে।
তাড়াতাড়ি পিছে গিয়ে দেখিলাম কান্ড
দুই পিস মাছ খেল সাথে খেল ভান্ড।
তুই ব্যাটা মাছ খেলি দুই পিস দিনু যেই
আগে হতে এসে দেখি কড়াইতে মাছ নেই।
এত ভারী জ্বালা ব্যাটা রাক্ষস না কি রে,
এর জ্বালা বড় জ্বালা কোথা গিয়ে থাকি রে।
সেই দিন পারতাম দিতে ঘাড় ধাক্কা,
কিন্তু তোমার লোক তাই দিইনি পাক্কা।
এ রকম চললে কিভাবে যে হবে লাভ
ব্যাবসার লাল বাতি বুঝলেন বাবুসাব
এ ব্যাটাকে বাদ দিয়ে ভালো লোক কর ঠিক,
নইলে এ ব্যাবসা দুই দিনে হবে লিক।
এখন বোঝনি বাবা পরে ঠিকই বুঝবে,
কানে ধরে মাফ চেয়ে ঠিক লোক খুজবে।