তুমি দেখতে পাও না আমার অস্তিত্ব,
শুনতে পাও না আমার আত্ম-চিৎকার।
তুমি অন্ধ,তুমি বধির সত্যিই তুমি বধির,
তাইতো বোঝো না শূন্যতার হাহাকার।
আমি প্রেমিক, ভালোবাসার পূজারী,
তোমার অবহেলায় আজ,সাজানো বাগান চৌচির,
তুমি অন্ধ বলেই দেখতে পাও না, লাল গোলাপ, হলুদ গাদা আর রক্তজবা কোনো গাছেই আজ আরর প্রাণ নেই, ফুল নেই।
আমি অবাক হই, কেমন করে পারো তুমি?
নিজ হাতেই সবকিছু নিঃশেষ করে দিতে?
আমি আজ অবহেলিত অসম্পূর্ণ অধ্যায়,
তাই লজ্জায় করি নতশির।
ভুলে গেছো কী সেদিনের কথা?
প্রথম যেদিন আমার হাতে তোমার হাত সঁপেছিলে, আর বলেছিলে আমি'ই নাকি তোমার জীবনে সব, আমি'ই নাকি তোমার জীবনের সাধনা।
আমি নির্বোধের ন্যায় বিশ্বাস করেছি সেদিন।
তোমার বুকেই আত্মসমর্পণ করেছি নিজেকে আর বলেছি জীবন থাকতে কখনো তোমার হাত ছাড়বো না।
আজ আমি ঠিকই আছি,
তুমি এ কোন বদলে যাওয়ার গান গাও, না-না ও পথ সঠিক নয় ফিরে এসো, ফিরে এসো মৌমিতা।
ঐ পথে যেওনা ও পথ কাঁটায় ঘেরা, পাছে যদি তুমি ব্যথা পাও।
তার চেয়ে সে'ই ভালো পুরোনো বাগানটা না-হয় আবার সাজিয়ে নাও।
২৮/২/১০১৮ সময় রাত ১:০৮