রুদ্র : আচ্ছা তোমার কি হয়েছে বলতো আমায়
মেঘা :কই কিছু না তো।
কেন হঠাৎ এমন প্রশ্ন?
রুদ্র :না বেশ কিছুদিন লক্ষ করলাম তোমার শরীরের বিভিন্নস্থানে কেমন জানি দেখা যাচ্ছে কি হয়েছে বলোতো।
মেঘা :নাহ, ও কিছু নয়। অনেক ভালোবাসতো তাই অল্পতেই ঘাবড়ে যাও, তুমি।
রুদ্র :কেন জানি তুমি অনেকটাই পরিবর্তন, আগে যেমন করে আমাকে আগলে ধরে রাখতে, এখন তেমন একটা করো না জানতে পারি কেন?
মেঘা :হাহা,, এ কি বলছ তুমি।
আমি এখনো তোমায় ঠিক আগের মতই আগলে রেখেছি, শুধু..?
রুদ্র : তা আমি জানি, তবে তোমার শুধু কথাটার ভিতর যে তুমি সীমাবদ্ধতার হয়ে গেলে সেটা আমি জানি না, বিশ্বাস করো এখনো আমি তোমাকে সে আগের মতই পেতে চাই।
মেঘা :একটা কথা দিতে পারবে? আমায়।
রুদ্র : বল তোমার জন্য সবকিছু করতে পারি।
মেঘা :ধর, আমি যদি মরে যাই।
আমার মৃত্যুর পরেও কি আমায় ভালোবাসবে, সেই জীবনেও কি এমন করেই আমায় চাইবে?
রুদ্র :প্রথমেই জানতে চাইব কেন হঠাৎ এমন প্রশ্ন করেছ, উত্তরে জানি কিছুই পাবোনা, তবে জানো আমি তোমাকে সে আগের মতই ভালবাসি তোমার মৃত্যুর পরেও তোমাকে সেই আগের মত ভালোবাসবো তুমি কি আমাকে আজও বুঝতে পারোনি ,আমি তোমাকে কতটা ভালবাসি।
মেঘা :আমার একটা শেষ ইচ্ছা পূরণ করবে?
রুদ্র :বলো তোমার শেষ ইচ্ছা কী শুনি।
মেঘা :আমার মৃত্যুর সময় যদি পারো তোমার কোলে আমার মাথাটা রেখো।
ভয় পেয়ো না, আমি শুধু তোমায় চেয়ে চেয়ে দেখবো। কথা দিলাম।
রুদ্র :কথা দিলাম ,তোমার শেষ ইচ্ছা পূরণ করার যথেষ্ট পরিমাণ চেষ্টা আমি করেই যাব পৃথিবীর যে কোন প্রান্তেই থাকি আমি তোমার হয়ে থাকবো।
মেঘা :আর একটা কথা, আমাকে ভেবে কখনোই যেন তোমার চোখ না ভেজে।এটা আমার অনুরোধ তোমার কাছে।
রুদ্র :তবে জানিনা সে কথা রাখতে পারবো কিনা ,কারণ পৃথিবীর সবচাইতে যাকে বেশি ভালোবাসি সে হলো তুমি, একথা তো বলতে পারবোনা আমার দুটি চোখ অঝোর নয়নে ভিজবে না।
মেঘা :আমি যে তোমার হাসি মুখ টা অনেক ভালোবাসি।
রুদ্র : তা আমি জানি, তুমি জানো সবচেয়ে বড় সত্যি কথা কি , জানো আমি তোমার কোন জিনিসটা সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি ।
মেঘা : কী।
রুদ্র: তুমি যখন খুব অভিমানী আমার দিকে তাকিয়ে থাকো, কি জানি বলবে চিন্তা করো, তখন আমি অনেক ভালোবাসি তোমায়, কারন কি হলো তোমার চোখ দুটো আমাকে খুঁজে।
মেঘা :হাহা,, পাগল টা,
আমি তোমাকে খুব খুব ভালোবাসি। আচ্ছা এবার বিদায় দাও।
রুদ্র :কোথায় যাবে বলো আমায়?
মেঘা : ওপাড়ে যাবো আর থাকবো তোমার অপেক্ষায়।