[সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ এই কবিতার প্রেক্ষাপট, কাহিনী, এবং চরত্রাদি সম্পূর্ণরূপে কাল্পনিক; বাস্তবতার সাথে এর কোনোই মিল নেই। যদি বাস্তব কোনো ব্যক্তি, কাহিনী বা প্রেক্ষাপটের সাথে সম্পূর্ণ কবিতা বা কবিতাটির কোনো অংশের আংশিক বা পূর্ণ মিল পাওয়া যায়, তবে তা হবে নিছকই কাকতালীয় ঘটনা। উপরন্তু, কবিতাটিতে কোথাও কোথাও তথাকথিত কিছু 'অশোলীল' শব্দ বা 'গালি' ব্যবহৃত হয়েছে। এক্ষেত্রে বলে রাখা বাঞ্চনীয়, এই কবিতার কবি কিঞ্চিত উন্মাদ স্বভাবের মনুষ্য হিসেবে সুহৃদ-সমাজে পরিচিত। তাই পাঠক যদি এই কবিতাটি পাঠ করেন, অনুগ্রহ পূর্বক নিজ দায়িত্বে পাঠ করবেন। কেননা এতোটা দীর্ঘ ও বিরক্তির উদ্রেক করে এমন সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি পড়ার পরও যদি আপনি এই কবিতা পাঠ করেন, এবং এতে যদি আপনার মন কাচের চূড়ির মতো ভেঙে যায়, সেই দায় নিতে কবি বাধ্য নন।]

তুমি কতোটা ব্যর্থ, নিদারুনভাবে ব্যর্থ—
তবু তুমি বলো তুমি সরকার!
আমি বলি তুমি অতি বোকা কিংবা অতিব চালাক
এতোটাই বোকা যে বোঝোনা তুমি ছাগল
কিংবা এতোটাই চালাক যে বোঝাতে চাও তুমি গাধা—
ছাগল কিংবা গাধারাও জানো লজ্জা পাবে
যদি ডাকা হয় তাদের তোমার নাম ধরে!
আহা রে, বেয়াদ্দপ!
তুমি এতো যে নাচো— কার কথায় যে নাচো তাও যদি বলতে!
এতো যে হাসো— কে তোমায় হাসায় যদি সেটাও জানতে!
আমি কাঁদি আর ভাবি এ কোন বেবাক আহম্মক;
ব্যাটা গোবরমেন্ট নাকি আস্ত এক শূকরের ছানা!
হতচ্ছাড়াটাকে যে দেব গালি— শালা গালিদেরও যদি মানহানি হয় এতে!
তুমি কি জানো?
তুমি এতোটাই যাচ্ছেতাই যে
তোমাকে নিয়ে কবিতা লেখা মানে শব্দের অপচয়,
তোমাকে মাথায় তুলে নাচা
আর পাছায় দিয়ে হাগা— দুটোই সমান কথা—
কোনোটারই কোনো ভ্যালু নেই।
অবশ্য তুমি যদি সেটা বুঝতে,
দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধিতে আমাদের আর বালুতে ডুবে মাথা গোঁজা লাগতোনা,
কিংবা ভাবা লাগতোনা তোমার গুটি আদৌ আছে নাকি তুমি খোঁজা।
শব্দের এমন পুরুষতান্ত্রিক ব্যবহারে
নারীবাদীরাও মনে হয়না তেমন কোনো আপত্তি তুলবেন,
কেননা তুমি যেভাবে যাচ্ছো
তাতে দু’দিন পরে বুঝি নারীদেরও পুরে দেয়া হবে ঘরে!
দূর ছাই, ক’দিন আর বাঁচবো, বলেই ফেলি মনের কথা—
অপহরণ আর মুখ চিপে ধরা যদি বাদ দেয়া যায়—
মাঝেমাঝে মনে হয় এর থেকে ভালো ছিলো বোধহয় আপা—
উনি অন্ততঃ স্বৈরাচার তো ছিলেন,
তোমার তো ভাই কোনো ’চার-ই নেই—
ছক্কা মারার নামে তুমি যেভাবে হাঁকাচ্ছো ব্যাট,
কোনো সন্দেহ নেই, তুমি হয়ে গেছো ডট বাবা!
আমার দাদার বলা সেই গল্পের মতো তাই আমাকে বলতেই হয়
এভাবে আর কতোদিন গোলেমালে যাবে!
পা’খানার খিল খুলে দ্যাখো,
বাইরে ভরে গেছে তোমারই আবর্জনা।


—৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪।