আমার শরীর শুধু ক্যাফেইন চায়
আমার শরীর শুধু নিকোটিন চায়
আমার শরীর চায় ধ্বংস বিনাশ
গল্প লেখার ছলে অশ্রু-বিলাস।
সুখের নাগাল পেতে আমার দেহ
হাতে তুলে নেয় ভরা মদের গেলাস,
সেলাম ওই বাবুদের কানাকড়ি সুদ
আমাদের জিন্দেগি মদেতেই বুঁদ—
পানশালা পানশালা খোলেনা তো সকালে
বাসিপেটে চাও মোর নেও জানি কপালে;
সুদূর এ জীবনের সবকিছু বাকোয়াস
এক হাতে বিড়ি নিয়ে মুখ দিয়ে ছাড়ি শ্বাস
তাই শালা ফুসফুসে ক্ষত হয় সারাতে
সন্ধ্যায়-রাতে ভিজি ঝর্ণার ধারাতে।
লিখছি কি বিচ্ছিরি শব্দের ভান্ডার
আর কতো মারা খেলে ঢের হবে জানডার,
কাব্যের ফাঁকাবুলি প্রাণ গেলো আওড়ে
ফাগুনের মাসে ঘোরা হয়না তো বাওড়ে
বরষায় যাবো ভাবি— আসে চৈত মাস
মৎস্যেরা শুরু করে ঘরে বসবাস।
তাই টানি সিদ্ধি, পাটা হয় বৃদ্ধি
মার্গের বাবুসোনা বলে মোরে জিদ্দি;
বুদ্ধের বোধিগাছে লাফ দিয়ে মগডালে
নাচিতে নাচিতে জ্ঞান পুরে ফেলি ভরা-গালে।
বমি করে উগরে সাগু খায় দুপুরে
স্নান-টান সেরে আসি বেহুলার পুকুরে—
শরীর আর কিছু নাহি বিষাদও চায়!
কুয়াশার চাদরে তাই ঢাকি নিজেরে
বিষণ্ণ-বিবর্ণ বিকেল বেলায়।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২২