দীর্ঘদিন থেকে নাতিশীতোষ্ণ এ অঞ্চল
মরুভূমির মতো দগ্ধ হয়ে চলেছে আজকাল;
জামরুল আর ফুলের বদলে
কেবলই দেখা যাচ্ছে ক্যাকটাস,
যেখানে সাগর ছিলো সেখানে এখন বালি;
খাঁ খাঁ করছে প্রান্তর যেন চৌত্রের রোদ এসে
চৌচির করে দিয়ে গেছে ভূমি।
তাই গরমের প্রচণ্ড অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে,
এক আকাশ রোদ্দুর বেচে আমি
এক পশলা বরষা কিনতে চেয়েছি।
কোনো খদ্দের অবশ্য পাওয়া যায়নি এখনো
তবে পুরো উদ্দম নিয়ে খুঁজে চলেছে ঈগল আর চিল।
আমি নিশ্চিত অতিদ্রুতই একটি মৃত উট
দেখতে পাওয়া যাবে—
তার শরীরের ভেতর জমানো পানি দিয়ে
আমরা ভরাবো আমাদের উদর।
ইতোমধ্যে ডাকযোগে পত্র দিয়ে পায়রাকে ডেকেছি,
টেলিফোনে খবর পেয়ে ছুটে আসছে ঘোড়া—
আশাবাদী হওয়া যায় খুব শিগগির
পরিত্রাণ পাওয়া যাবে এই জলবায়ু থেকে,
বরফ গলার আগেই আমরা
খালটাকে বানিয়ে ফেলব সমুদ্দুর—
কেননা বৃষ্টির থেকে রোদ অনেক সস্তা,
আর অর্থনীতির পাল্লা যেভাবে তলায় ঠেকছে
দামী দ্রব্য মজুত করে এখনই তো ধনী হওয়ার পালা।
১০ জুন ২০২২।