সে আসবে, সে আসছে, আমি করছি তাঁর অপেক্ষা
আমার প্রিয়া আসবে ঘরে, কেবলই তাঁর প্রতীক্ষা!
বুকে আমার ব্যথা এতো, বলবো কাকে দুঃখের কথা
খুঁজতে গিয়ে প্রিয়াকে, হায়, মিললো পথে মালিক খোদা;
তাও মেলেনি প্রিয় আমার, খুঁজি যতোই হেথাই-ওথা
তাই বলে কি ছেড়েই দেবো আমার জানেমনকে খোঁজা?
কিতাব পড়ে আলেম হলি, নিজেকেই খালি পড়লিনা
মসজিদে যাস নিয়ম করে, নিজের মনেই ঢুকলিনা;
পাথর মারিস শয়তানকে, নিজের পাপ আর বুঝলিনা
বনের পাখি রাখলি খাঁচায়, ভালোবাসা রাখলিনা!
ইবাদাত আর প্রেমের মাঝে কোনটা কঠিন, দেখবিনা?
রাগ যদিও করে খোদা, রাগ ভাঙানো খুবই সোজা
দুইটি রাকাত নফল নামাজ—ইতনাহি তো লাগে পড়া;
রাগ করলে প্রেমিকা, হায়, মেজাজ যে তাঁর খুবই কড়া
হাজারবার ঠুকেও মাথা, মুশকিল ভাঙা তাঁর এ গোসা।
তাই বলে কি হাল ছাড়বো? করবোনা সে প্রচেষ্টা?
যে হয়েছে সফল এতে, তাঁর কিচ্ছা আয় শুনে যা!
দুনিয়ার সব প্রেমিক মিলে বললো, “পাগল,” মজনুকে,
“কি দেখে তুই মজলিরে ভাই এমন কালো লায়লা-তে!”
এই শুনে হায় মজনু মিয়া কইলো সকল প্রেমিককে,
“যা যা ভাই অন্ধ তোরা, দেখতে চোখে পারিসনে
কালো বলেই লায়লা যে মোর সর্বশ্রেষ্ঠা সুন্দরী;
কুরআন হলেও শ্রেষ্ঠ কিতাব, লিখতে লাগে কালো কালি!”
তাইতো বলে বুল্লা শাহে, কাউকে যদি ধরেই মনে
হোক সে সাদা, হোক সে কালো—কি এসে যায় গায়ের রঙে!
পড়তে পড়তে জ্ঞানী হলে নাম হয় তাঁর কাজী
মক্কায় গিয়ে হজ্জ করে এলে নাম হয় তাঁর হাজী
যুদ্ধ যদি জয় করে আসে নাম হয় তাঁর গাজী;
বুল্লা শাহ তো করেছে কেবল প্রিয়াকে তাঁর রাজি!
তাওতো বুল্লার নাম নিচ্ছি, বারবার এই গানে
হাজী হোক বা মোল্লা-গাজী, প্রেমিক সবখানে!
প্রিয়া ঘরে এলো, আমার প্রিয়া ঘরে এলো
চাঁদের আলোও শরমিয়ে যায়, প্রিয়া ঘরে এলো!
আমার প্রিয়া ঘরে এলো!!
কোক স্টুডিও পাকিস্তানের মৌসুম ১১ তে ফরিদ আয়াজ এবং আবু মোহাম্মদ কাওয়াল বুল্লা শাহ-র ‘পিয়া ঘর আয়া’ পরিবেশন করেন। এই কবিতা/গানটি তার পরিমার্জিত, ও আংশিক অনুবাদ। অনুবাদকাল: ডিসেম্বর, ২০২৪-জানুয়ারি, ২০২৫।