হে খোদা, তুমিই ভালো জানো কোনদিকে নিয়ে যাবে।
সামনে দেখছি অসুখ-বিসুখ, পেছনে অবক্ষয়
ডান দিকে দেখি দুঃখ-জরা, বায়েতে বিরাট প্রলয়।
চারিদিকে শুধু দেখছি ধ্বংস, দেখি আরো গিরিখাত
চোরাবালির এক গর্তে পড়ে হয়ে গেছি কুপোকাত।

মানুষ দেখেছি—বিনয় দেখিনি খুবেকটা কখনো—
দেখেছি জোচ্চোরি—
সামনের রাস্তা দিয়ে প্রবেশে অক্ষম বলে
বেছে নিতে দেখেছি পিছনের কানাগলি।

হে খোদা, তুমিই বলে দাও কোন দিকে যাবো আমি!
কোন পথে গেলে ভয় নেই কোনো
কোন পথে নেই শয়তান
কোন পথে গেলে লুন্ঠিত হবো
কোন পথে পাবো আরাফা’র ময়দান,
কোন ঔষধে যাবে মায়ের অসুখ
কোন অছিলায় বাবা ফিরে পাবে তার মান,
ভাইয়ের জন্য ব্যকুল হৃদয়—
কেন তাঁকেই দিতে হবে বলিদান!
কেন বারবার দিতে হয় আঘাত তাকেই
যাকে আগলে রাখার জন্য এ প্রাণ!
কেন স্বপ্ন ছোঁয়ার ঠিক আগে হয়ে যায় নিদ্রার অবসান!

হে খোদা, তুমি সবই জানো হে অন্তর্যামী—
বলে দাও মোরে এখনই কি নেবে
নাকি এতোটা বিষাদ-কষ্টের পাশাপাশি
সুখও কিছু এই গোলামেরে দেবে?
হে খোদা, বলে দাও কিসে হবে তুষ্ট তুমি?
শুধু চাও গুনগান?
কোটি-কোটি বান্দার আর্তনাদেও চুপ করে খোদা—
তুমি কি সীমারের চেয়েও পাষাণ?


৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩।