পাহাড়ে আমার ঝর্না ছিলো,
গোসল হতো নদীর ধারে—
মেঘালয় আর সিকিম থেকে
খুব বেশি নয়, একটু দূরে।
এখন আবার উট চরাচ্ছি,
মরুভূমির তপ্ত বালু
রোজ দুপুরে লাগিয়ে গায়ে।
তাতে যে খুব আফসোস আছে
তা তো নয়—
এইতো জীবন সোনার জীবন
এইতো আমি চেয়েছিলাম।
এখন যখন করতে পারি মনে
আমি জানি আমি চেয়েইছিলাম
হারিয়ে যেতে—
কোন বনে সে কে বা জানে!
কোন বিকেলে, কোন সন্ধ্যায়
কোন সকালে, কে জানে রে হতচ্ছাড়া!
আমি শুধু চেয়েছিলাম ধ্বংস হবো
বিনাশ আমার হতেই হবে।
তাইতো আমি ঝর্না রেখে মরুর ঝড়ে—
আজ বেদুইন, কালকে হবো রাজা।
তখত আমার হতেই হবে
তার জন্যই দরকার এই সাজা।
উট চরিয়ে খাচ্ছি, খাবো;
বালির নিচে তেলও আছে
তেল চড়িয়ে চড়বো গাড়ি
তেলের টাকায় করবো বাড়ি,
তার আগে ভাই অস্ত্র নেবো—
বন্দুকের নলই তো ক্ষমতার উৎস, নাকি?
একবার হাতে পাওয়ার এলেই হয়
শিল্পের নামে সব জোচ্চুরি বন্ধ করে দেব,
শুক্রবারে কেবল আমার কবিতা পড়া হবে
শিল্পকলায় কেবল গুনগান হবে আমার,
বাংলা একাডেমি তো শালা তালা লাগিয়ে বন্ধই করে দেব
যত্তোসব গালবাজদের আড্ডা ওখানে।
আপাতত সেসব থাকুক,
খুব পেয়েছে তেষ্টা আমার—
একটা উট জবাই হবে
তার পরে না জুটবে পানি!
আমি ভাই যাই তাহলে,
পরেরবার দেখা হবে
কেরালা কিংবা কর্ণাটকে।
২ মার্চ, ২০২৩।