প্রতিদিন ঘা খাচ্ছি একেকটা
কোনোদিন হাত ভাঙছে কোনোদিন পা।
আজকাল ডাক্তারের কাছে যাওয়ারও পয়সা নেই
তাই ঘরেই নিতে হচ্ছে চিকিৎসা;
একগাদা ব্যান্ডেজ আছে, সেটাই লাগাচ্ছি—
ওগুলো শেষ হয়ে গেলে কি হবে তা অবশ্য জানিনা।
সেদিন মাথা ফাটলো, স্পিরিট লাগালাম ইচ্ছেমতো
পায়ের জন্যও আছে ইট আর বাঁশ—
নিজের এসব উদ্ভাবনী শক্তি দেখে
ডাক্তারের থেকে নিজেকে বেশি শিল্পীই মনে হচ্ছে;
যদিও দুটোর কোনোটিরই কোনো ডিগ্রি আমার নেই।
তাতে কি! এটা আজকালকার দিনে কোনো সমস্যাই না—
এখন তো হাতুড়েরাই পাশ করা ডাক্তারদের থেকে দক্ষভাবে অপারেশন করছে,
আর চারুকলার ছাত্ররা তো আঁকাআঁকি বাদ দিয়ে
গাঁজা আর সঙ্গমেই ব্যস্ত!
সমস্য অবশ্য একটা আছে—
সেটা বিশ্রাম।
হাড়ভাঙার সর্বোত্তম চিকিৎসাই হচ্ছে আরাম করা,
বিছানায় পড়ে থাকতে হবে দিনকেদিন—
আর এখানেই যতো গোল লেগে আছে আমার।
এতো কাজ! বাব্বা! একটুও জিরোবার জো নেই;
সকাল-বিকাল ছুটতে হচ্ছে, হাঁটতে হচ্ছে—
এক্কেবারে দৌড়ের উপরে আছি।
এসবে অবশ্য কাজের কাজ বলতে কিছু হচ্ছেনা,
তবে আমি বুঝতে পারছি—
এখন আমার এই অবস্থায়
একটুখানিও থামতে গেলে চলবেনা।
২ মে ২০২২।