যেভাবে আঁধার করে আসছে সময়
বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম;
এতে বরং বাড়বে গরম
ক্লান্ত হবে নগর জীবন,
তার উপর যে কঠিন জ্যাম
বাসেই হবে ঘুমের ব্যায়াম।

এর মাঝে এক ব্যর্থ কবি
নীল কালির এক কলম ধরে
লিখবে কি তাই ভাবছে বসে—
“ক্ষমা করবেন পাঠকগণ,
সত্য কথা বলতে গেলে যেমনভাবে ফুরোয় দম—
এমনভাবে চলতে থাকলে
কবিতা আর লিখবোনা;
বরং দেব ভাতের হোটেল
কিংবা খুচরো ব্যাবসায়ী—
সস্তা দামে সব্জি কিনে বেচবো হাটে তরকারি...”

অমনি বাসে উঠেই হকার
হাঁক ঝাড়লো হেই জোরে—
“লাগবে নাকি বাদাম ভাজা
দশ টাকায় এক প্যাকেট পুরা,
মচমচে আর এমন তাজা
মুখে দিলেই বেদম মজা...”

ওদিকে হর্ন বাজাচ্ছে এক বুড়ো ড্রাইভার,
একটি মোটরসাইকেল দু'টো বাসের ফাঁক দিয়ে
কি নিমিষেই গলে গেলো;
আবার হাতের ঈশারায় রাস্তা পার হচ্ছে একদল ঘর্মাক্ত মানুষ,
যেন ট্রাফিক তাদের কথায় ওঠে আর বসে।”

আমি অবশ্য এসবের কিছুই দেখছিনা;
কেননা প্রতিদিন দেখতে দেখতে আমি শিখে গেছি
চোখ খোলা রেখেও কি করে অঘোরে ঘুমাতে হয়।
কিন্তু আজ আমার নজর কেড়েছে একটু শিশু—
পিতার কোলে শুয়ে শুয়ে এক অদ্ভুত চোখে
সে আমাদের দেখছে—
যেন সে দর্শক আর আমরা চিড়িয়াখানার জন্তু!”

১০ এপ্রিল ২০২২।