আজ আমি বিশ্ব-মানচিত্রে আবার চোখ ঘোরালাম।
হতে পারে এই মানচিত্রে খুব ক্ষুদ্র তোমার আকার
তোমার সুন্দরতা তো ক্ষুদ্র নয়,
বিধাতা যেন জয়নুল দিয়ে, জয়নুলের হাতে স্বর্গের তুলি দিয়ে
নিখুঁতভাবে তোমায় একে দিলেন।
তাই এই মানচিত্রে তোমায় বড় মনে হয়,
অনেক বিশাল মনে হয় আমার।
আজ একবার ইতিহাসের বইটায় চোখ ঘোরালাম।
হতে পারে তুমি ১৬ কোটি গরীবের মাতা;
তোমার ইতিহাস গরীব নয়।
তোমার সন্তান কাপুরুষ নয়।
তুমি বর্ণমালার বর্ম বরকতকে দিয়েছ,
দিয়েছ সাড়ে সাত কোটি মানুষের জন্য
নিঃস্বার্থ মুজিবুরের নিষ্পাপ চোখের পানি,
দিয়েছ সবুজ দেশ গড়তে ক্লান্তিহীন জিয়াউর,
দিয়েছ দেশকে জয়ী করতে উড়ন্ত মতিউর।
যতটা পৃষ্ঠা এগিয়েছি, সবখানেই শুধু বীর দেখেছি,
বীরত্ব দেখেছি, বিসর্জন দেখেছি।
ওরা দিয়েছে তোমায় গৌরবে আঁচল ভরে।
তাই তোমায় আমার সম্পদের রানি মনে হয়।
কে বলেছে গরীব তুমি, না তুমি-তো গরীব নও!
দু হাত ভরে আমায় মনি-মুক্ত তুমি দিতে পারোনি
তুমি আমায় দুহাত ভরে ভালোবাসা দিলে,
দিলে পদ্মার পাড়ের স্নিগ্ধ বাতাস,
দিলে কাশফুলের কোমল পরশ,
দিলে সবুজ ধানক্ষেতের কাব্যিকতা,
দিলে হাজার কবির কালজয়ী কবিতা
দিলে কোকিলের গানের কুহু কুহু মধুরতা।
কি দাওনি তুমি,
তাই আমার বাংলাদেশ, আমার বঙ্গ-মাতা
তুমিই আমার কাছে শ্রেষ্ঠ দাতা।
আমিই তোমায় কিছু দিতে পারিনি,
আমায় ক্ষমা কর বাংলাদেশ,
আমায় ক্ষমা কর।