কোথা তুই যাস্ মা?
ফেলে মোরে বলনা ;
তুই গেলে তোর মত
কে দিবে ভালোবাসা?
করজোড়ে মিনতি মা
বুজিস না চোখদুটা।
তুই চলে গেলে মা
আর আছে কেবা
নাম ধরে ডাকটা
দেবে স্বরে মধুমাখা।
আমি তোর হয়ে বাছা
মাটির ঐ চির খাঁচা
চিরতরে তোরে মা
রেখে দিতে পারবোনা।
বল মা ফেলে বাছা
চিরতরে যেতে সেথা
তোর ঐ মায়ামনে
হয় না কি মায়া?
বল না রে বল মা,
আমি তোর হয়ে বাছা
কিভাবে মাটিচাপা
নিজহাতে দিবরে মা ?
পেলে তোর বাছা ব্যথা
চোখ থেকে তোর মত
ঝরাবে কে কান্না?
হয়ে আমি ঘামে ভেজা
ফিরে এই বাড়িখানা
মা বলে উঁচু স্বরে
কারে দিবো ডাকটা?
তুই চলে গেলে মা
চোখের ওই ঘুমটা
তোর মত ডাক দিয়ে
ভাঙাবে কে বল না।
আমার সেই ছোটবেলা
শত দুষ্টুমিতেও
ধৈর্য মা হারাতিনা।
হাজারো ধৈর্য
দিলো তোরে বিধাতা।
তোর আগে নিয়ে নিত
যদি মোরে স্রষ্টা;
তোর ঐ চোখবোজা
দেখতে যে হতোনা।
শুনে মা এত কথা
দিয়ে এই মনে ব্যথা
চিরতরে চোখদুটা
বুজে তুই ফেলিস না।
আটকাতে কান্না
আমি আর পারিনা।
(এখানে একটি সন্তান তার মাকে তার নিজের ভাষায় কথাগুলো বলেছে তাই দু একটি পুরানো শব্দ এসেছে। যেমন-মোরে, বাছা)