রিমি-ঝিমি, টাপুর-টুপুর জল-স্থলে
সে আমারে ভিজিয়ে দিলো নতুন করে।
ওযে টিনের চালে যাচ্ছে নেচে হেলে দুলে
ওযে এলো আমায় গান শোনাতে মিষ্টি সুরে।
যেন বঙ্গ-মাতা সুর উঠালো মধুর গানে
সে গানে আজ হারিয়ে যাবো অচিনপুরে।
তোরা নেরে জেনে, নেরে জেনে, নেরে জেনে;
বর্ষা আমায় সৃষ্টি-সুরে নেবে টেনে।
মাঠ-ঘাটেতে টই-টুম্বুর নতুন জলে
সে জলেতে যাবরে আজ ভেলায় চলে।
সে ভেলাতে রাখবো আমি শাপালা তুলে
সে শাপলা আনব ঘরে সন্ধ্যে হলে।
তোরা নেরে জেনে, নেরে জেনে, নেরে জেনে;
বর্ষা আমায় ছেলে বেলা দিবে কিনে।
আজকে আমি সেই বেলাতে যাব ফিরে
নতুন নতুন কাব্য আমায় রাখবে ঘিরে।
মাছ ধরবো ইচ্ছেমত বর্ষা-জলে
সবাই আমায় বলবে আবার দুষ্ট ছেলে।
সারাটা দিন কাটিয়ে দেবো দুষ্টুমিতে
ভাব জমিয়ে নেবো আমি এই মাটিতে
যে মাটি আজ হাত মিলালো বর্ষা-হাতে।
মাখবো কাদা, কিসের বাধা?আয়না সাথে
ভিজাবো গা, বিনে ছাতা ঘুরবো পথে।
আয়নারে আজ দুঃখগুলি দেইরে ধুয়ে,
সুখটাকে আজ বসুন্ধরায় দেই ফিরিয়ে।
(বরষার আয়োজন)