(আজ নাই বা গেল জানা ভাই আমার পাতায় আমার আগের লেখা “অস্ত্র” কবিতাটি তুলে দিলন । আর বললেন কেন এই স্টাইল থেকে সড়ে আসলে। তাই তার অভিমানমিশ্রিত অভিযোগে অনুপ্রাণিত হয়ে আমি এই কবিতাটি এইমাত্র লেখলাম। আর উৎসর্গ করলাম আমার নাই বা গেল জানা দাদাভাইকে। নাই বা গেল জানা ভাই আপনাকে বলছি, এটাও আমি সেই নিজস্ব স্টাইলে লেখার চেষ্টা করেছি। জানিনা কতটুকু সফল হয়েছি। এইমাত্রই লিখলাম। প্রয়োজনে আবার সম্পাদনা করে নেব। )
(অগ্নিমূর্তি) ()
()()()
()()()()
()()
এখনো কি তোমার রাত কাটেনি??
বিশ্ব বিবেক করে হাতছানি,
কবি!
এখনো কেন জেগে ওঠোনি।
বেদনা-সড়কে দ্যাখ ঐ কত
তাজা রক্তের ছড়াছড়ি,
নিস্তব্ধ , নিরব
যেন শুনশান শ্মশানভূমি,
এখনো কলম অস্ত্র হয়নি!!!!
চিৎকার করে বলছি কবি!
কেন ঘুমিয়ে বধ্যভূমি?
চিৎকার করে বলছি কবি।
কাব্যে ঝরেনি আজও যে অগ্নি??
তবে কি বলবো?
আঁধারের জালে বন্দী কবি!
ঐ যে তোমার চোখের সামনেই
কত মা, কত বাবা, কত বোন, কত ভাই;
অঝোর ধারাতে ঝরায় পানি।
তবে কি বলবো?
তবে কি বলবো আমি??
চোখটি তোমার হয়েছে নষ্ট,
চোখের ভিতর পড়েছে ছানি।
অফিসে অফিসে হরদম অতি
চলে ঘুষ, চলে দুর্নীতি,চলে স্বজনপ্রীতি
আজও মেয়েদের কাটেনি ভীতি
হারায় সতীত্ব প্রতিদিনই সতী।
জিভ টেনে কেন ছিঁড়তে পারোনি,
লোভী হায়েনার কালো জিভখানি।
কেন বিদ্রোহী এক ঝলকানি,
এখনো ও হাতে প্রাণ পায়নি,
অবিনাশী হয়ে বিনাশ করোনি
কেন শকুনের প্রাণখানি।
ঐ দ্যাখো
ঐ দ্যাখো কবি ।
গরীব দুঃখীর ছাঁকরা রক্ত
পৌঁছল কি তব চোখের মনি??
রক্ত দিয়ে মাখন বানিয়ে
রুটি দিয়ে দা খাচ্ছে লোভী।
ঐ দ্যাখো
ঐ দ্যাখো কবি ।
খাবার নিয়ে করে মাখামাখি
ঘৃণিত ঐ শকুনগুলি ।
আর ঐ?
ঐ যে ছোট্ট দুধের শিশুটি,
এখনোযে তার খাবার জোটেনি ।
চিৎকার করে বলছি কবি,
ওঠে দাঁড়াও, কবি!
ওঠে দাঁড়াও।
হয়ে ওঠ কবি অগ্নিমূর্তি।
পশু হায়েনার সত্ত্বাখানি,
পুড়িয়ে দাও,জ্বালিয়ে দাও
চিৎকার করে বলছি কবি।
আমি চিৎকার করে বলছি।
(কথাগুলো নিজেকে উদ্দেশ্য করে বলেছি।)