এখানে আমার হুংকার শুনে পালিয়েছে ঐ হায়েনার দল,
আমি চঞ্চল, আমি উত্তাল , আমি নিভয়, আমি দুর্জয়, আমি সততায় অবিচল ।
কান পেতে ঐ শুনে যাও এসে, ছুটে চলা এই প্রয়াসে হাসে; প্রভাতের রাঙ্গা কলতান,
ঐ পথে আমি যাত্রী হয়ে, ঐ পথে আমি ক্ষিপ্ত পায়ে, ঐ পথে আমি আগুয়ান।
পথ ছাড়, হে পথ ছাড়, পথ ছাড়; আমি তোলপাড়; দুর হয়ে যা শয়তান,
ঘুচাবো আজি অমানিশা সবি, আসবোই নিয়ে দীপ্ত রবি; হবে রাত্রির মহাপ্রয়াণ।
সকাল আমায় ডাক দিয়েছে, টেনে নেবে সে আমায় কাছে , শুনাতে এক সুমধুর গান,
সে গানে আমি মুগ্ধ হয়ে,সোনালী রঙের সূত্র দিয়ে , বেঁধে নিব আজ আমার প্রাণ।
বজ্রকণ্ঠে হবে রনগান,সিমাহীন টান, রবে মনেতে শক্ত পণ,
শন শণ করে বইবে বাতাস, বইবে সুবাস; শান্ত করবে ক্লান্ত মন।
বৈশাখ থেকে চৈত্র রবে , হৈ হৈ করে রাঙ্গা কলরব, নিজ হাতে গড়া সোনার মাস,
কৃ্ষ্ণচূড়া বিলাবে সুবাস, গড়বে আবাস, সেবাতে হবে সে নিত্যপ্রয়াস।
হাসবে আকাশ, হাসবে বাতাস, হাসবে আমার তৃপ্ত মন,
এ যেন আবারো বীর সেনাদের আলো বরণের স্বর্ণালী এক বিজয় ক্ষণ।
ওরে সবু্জ, ওরে চপল, ওরে নির্ভয়, ওরে দুর্জয় , বাতাসের বেশে, বীরবেশে ওরে এগিয়ে চল,
অন্তরে তোর লাখো শতদল,ভেঙ্গে টলমল, করে ছলছল এগিয়ে চল।
(বিষয়বস্তুর হালকা ধারনাঃ মানুষের অন্তরে দুটা দিক থাকে একটি পশুত্ব, অপরটি বিবেক। যে পশুত্ব গ্রহন করে যে পশুর থেকে নিচুমানের হয়। আর যে বিবেক কে গ্রহন করে সে হয় আলোকিত মানুষ। এখানে হায়েনার দল বলতে পশুত্বকে বোঝানো হয়েছে। অর্থাৎ হুকার শুনে পশুত্ব চলে গেছে।)