ভোর বেলাতে নিলাম হাতে আমার কলম তুলে
প্রবাস কবির গল্প বলে যাক না বেলা বেড়ে।
দুর থেকে সে কাব্যমালা গাঁথছে মায়ার ফুলে,
দেশ মায়েরে অনেকটা কাল থাকতে হচ্ছে ছেড়ে।
লিখছে অনেক চোখের জলে দুরের স্বজন প্রেমে,
দুঃখগুলো সাগর হয়ে ঢেউ যে যাচ্ছে খেলে।
তবু জীবন চলছে তারি, থাকছে নাতো থেমে;
জীবনটা যে বোঝেনা তা, যুদ্ধে দিচ্ছে ঠেলে।
দুঃখ দিয়ে কাব্য লিখে যাচ্ছে কবি ঘেমে,
তাতে কি আর হারানো সেই ক্ষণের দেখা মেলে!
বাংলাদেশে অবুঝ কন্যা হিয়াম সোনা নামে,
মায়ের কাছে হচ্ছে বড় দিনে দিনে সে।
ছোট্ট শিশু অভিমান জমিয়ে রাখে খামে,
দেখাবে সে বাবা তারি ফিরে যদি আসে।
মাঝে মাঝে সেই শিশুটি “বাবা” “বাবা” ডাকে
বাবার কথা যখন শিশুর বেজায় স্মরণ আসে।
কান্না আসে শিশুর মায়ের অবুঝ শিশুর ডাকে
কান্না দেখে শিশু তখন মায়ের পাশে বসে।
শিশুর দাদি একটু দুরে আচলে চোখ ঢাকে,
কিভাবে সে ছেলেটাকে আনবে নাতির কাছে।
এবার ছেলে আসলে তবে রাখবে ধরে বুকে
মনটা যে তার মরুর মত শুন্য হয়ে আছে।
দুরে বসে কবি শুধু চাপা স্বরে কাঁদে,
সবাইকে সে পাবে কাছে কতদিনের বাদে।
কবির বাবা কবির কাছে ছবি হয়ে আছে,
না ফেরার ঐ দেশে সেও যে হারিয়েছে।
কবি এখন নিজেই বাবা দুঃখ বলবে কাকে,
একটু খানি পায়না নিতে কন্যাকে সে বুকে।
এইতো হল জীবন কবি, শত কষ্ট-রঙ্গে
জীবন মানে যুদ্ধ কবি, পরোনাতো ভেঙ্গে।
(রচনাঃ ২৬/০৬/১৩,বেলা-১১.৫২)