দ্যাখো
  অহংকারীর পায়ে বাজে
  অবিরত সকাল সাঁঝে
         নূপুরেরই
         ঝংকার ।

  সোনার পুরো দেহে মুড়ো
  নিত্য পুড়ো সময় জুড়ো
           কত শত
          অলংকার ।

     রাস্তাটারে সস্তা করে
   এপার ওপার পায় মাড়িয়ে
        গলার জোরে
          হুংকার ।

            দ্যাখো
আকাশটা তার পায়ের তলায়
পাতালটা তার বিশাল মাথায়;
        ওলট-পালট
         তর-তর ।

আশেপাশে, শূন্যে গাছে
     আছে যত সুন্দর;
হীরক শোভায় জ্বলুক যত
      তার মত নয়
        সুন্দর ।

  যেন সূর্যটা কথা শোনে,
চাঁদটাও তার শাসন মানে ;
       জানে কত
        মন্তর ।

         দ্যাখো
অহংকারীর মুখের ভাষা
গগণ গিয়ে করে সা...সা
     তাঁরা ঝরায়
      ঝরঝর ।

ধরার পরার যত জ্ঞান
সব আছে তার অভিধান ;
      বলবে সবই
      ছড়-ছড় ।

        দ্যাখো
  অহংকারীর তীর চাহনি
পুড়িয়ে দেবে সারা অবনী ;
       করে দেবে
        ছারখার ।

   অহংকারী শূন্যে উড়ে
আকাশ-পাতাল সব ছাড়িয়ে
কি জানি কি নিজরে ভাবে;
    তার থেকে সব
        নিম্নতর ।