শরতের চন্দ্রিমা বিছানো রাতে ,
মেঘ পরীদের ছায়া মাখা পথে ।
বন্ধু তখন আমরা চলেছিএকসাথে ,
মায়াবিনী মায়াভরা মাতাল হাওয়াতে ।
শাপলা শালুক ফোটে দীঘির জলে ,
কি সুখেতে তারা বাতাসেতে দোলে ।
মরাল মরালী দলে দলে ভাসে জলে ,
ডুব দিয়ে গুগলি শামুক খায় তুলে তুলে ।
শরতে শিউলী বিছানো গাছের ছায়া তলে ,
ফুলে ফুলে ছেয়ে আছে শিউলী বিছানো ফুলে ।
ও তটিনী নটিনী নাচে উল্লাসে ভাদরের বৃষ্টির জলে ,
প্লাবিত ভরা তটিনী নটী দুকুল ছাপে ফুলে ফুলে ।
শরতের আকাশে বাতাশে ভাসে মা'র আগমণী ,
শিশির ধরে ঘাসে ঘাসে শোনা যায় মা'র পদধ্বনী ।
মাঝে মাঝে হিমেল হাওয়ায় ছুঁয়ে যায় শিরশিরানী ,
শরতে শিব সাথে বাপের বাড়ী আসবেন গিরিনন্দিনী ।
মায়ের আগমণী বার্তা ঘোষিত আকাশে বাতাসে ,
আনন্দের আয়োজন করে সবে মা'র আসার আশে ।
উমা আসছেন বৎসর পরে মা মেনকার সকাশে ,
তাইতো সাজো সাজো ধ্বনী ভাসিছে পরকাশে ।
****************
দুপুর - ১২ :১০ মিনিট ।
২৫ / ০৯ / ২৩ সোমবার ।
রবীন্দ্রনগর = মেদিনীপুর ।