হেথা হোথা শব্দ যথা তথা পড়ে সবে করে গঞ্জনা ,
অবহেলে পড়ে থাকে কেউ কি তাদের গুছায় না ।
এলোমেলো শব্দগুলোকে একসাথে গুছিয়ে দেখি ,
অপরূপা সুন্দরী এক অপূর্ব সুন্দরী রূপসী একি ?
শব্দ দিয়ে বাঁধি চুল এলোচুলে পরাই ছন্দের ফুল,
গলায় সাতনরী হার দুকানে তার দুলাই শব্দের দুল ।
নাকেতে দুলিয়ে নোলক নাকে গুঁজি দিই নাকফুল ,
বাহুতে পরাই আর্মলেট ঝুলিয়ে দিই শাড়ির আঁচল ।
কন্ঠে দুলাই মুক্তোর মালা মনের যত জুড়াই জ্বালা,
কোথা শব্দ বালা কালী নাকি হও কালা নয় ভোলা ।
সবজায়গায় আছ তুমি গলেতে হাতে হয়েছ কুন্তলা ,
শব্দ নয় সামান্য বালা কখনো কৃষ্ণ কখনো কালা ।
কখনো বাহুতে বাজুবন্ধ আবার কোটিদেশে কোটিব্ন্ধ,
আরো দুপায়ে নুপুর হয়েও বাজো নুপুরে তোল ছন্দ ।
শব্দ তোমারে সাজাবো করে যতন ভালে এঁকে চন্দন ,
হাতেতে পরাব বলয় কংঙ্কন সিঁথিতে টিকুলি মনমতন ।
শব্দ গুচ্ছ দিয়ে স্থানে স্থানে বসিয়ে তারে সাজিয়ে রূপসী ,
যেথায় তার প্রয়োজন বসিয়ে করি আয়োজন এক উর্ব্বশী ।
***************
দুপুর - ১২ : ১৬ মিনিট ।
১৬ / ১১ / ২৪ শনিবার ।
রবীন্দ্রনগর = মেদিনীপুর ।