নদী মাতৃ সমা পালন করে সন্তান সন্ততি ,
দুই তীরে তার শস্য শ্যামলা জমি প্রসস্তি ।
তীরে তার গড়ে উঠে কত শিল্প সংস্কৃতি,
চাষ আবাদি জমি উর্বরা ফসল ফলে অতি ।

বেগবতী নদীর রোধে তাকে কার এত শকতি ,
দুর্বার বেগে বয়ে চলে অতি বহতি স্রোতস্বতী ।
নাই মানে কোন কিছুই আড়াল আবড়াল বিপত্তি ,
আপন মহিমায় বয়ে চলে কে রোধে সেই গতি ।

নদীর ধারার কি গতি কখন তার কি যে মতি ,
যেদিকে ধারা বয়ে চলে সেদিকে অবাধ গতি ।
নদীর ধারা যেদিকে ধায় সদাই অস্থির মতি ,
না করা যায় রোধ তারে শোনেনা কাকুতি মিনতি ।

সে বুঝেনা ক্ষয় ক্ষতি জানেনা নিজের বিস্তৃতি ,
অবিচল অবিরাম বয়ে চলে যেদিকে অগ্রগতি ।
নদী কত কিছুর অতীত সাক্ষী নিয়ে চলে স্মৃতি ,
তার কুলু কুলু কলতান ধ্বনি মনে জাগায় গীতি ।

নদীর কলকল্লোল ধ্বনি যেন জীবনের কত স্মৃতি ,
তার দুই তীরে গড়ে উঠেছে বিশাল নগরী বিস্তৃতি।
কোন স্থানে বালুচরে কাশবনে ফুলে চেয়েছে পরিব্যাপ্তি ,
আবার কোথাও কোথাও তীরে বাসোপযোগী বসতি ।

    *********************
রাত্রি - ৯ :১৩ মিনিট ।
০৮ /০৬ /২৪ শনিবার ।
কোলকাতা ।