মাতৃ জঠরে রেখে ভ্রুন কোন কোন পিতা করে পলায়ন ,
সে মতাবস্থায় সেই অবহেলিত নারীকে কে করে রক্ষণ ।
প্রসবিয়ে মা জননী অসহায় কত কষ্টে করে সন্তান পালন ,
পলাতক পিতা না রাখে মাতা ও সন্তানের খোঁজ খবর তখন ।
না দেখিল কে পিতা না বুঝিল তার স্নেহ মমতা ভালোবাসা ,
কষ্ট করে কাজ করে মাতা তাকে বড় করে মুখে দেয় ভাষা ।
অবহেলায় অনাহারে অর্ধাহারে সমাজে সন্তান মানুষের আশা ,
প্রত্যাশায় বহুকষ্টে নিরাশ হয়েও আশা লয়ে বুকে বাঁধে ভরসা ।
নিজ সুখ স্বার্থ লাগি যে করে অনত্রে গমন ,
স্বীয় পত্নী পরিত্যাগী অন্য রমণীতে মগন ।
তাদের বিপদে ফেলে রেখে সুখ ভোগে মত্ত হন ,
সেই পুরুষের কি সমাজ মধ্যে হবে স্থান পুনর্বাসন ।
বার্ধক্য বয়সে মনে পড়ে ফেলে আসা পত্নী সন্তান ,
ফেলে আসা পত্নীর করেনি খোঁজ তল্লাস কোনদিন ।
ক্ষমতাহীন বৃদ্ধ বয়সে মনেপড়ে ত্যাগ করা পত্নীর মুখান ,
আরকি ফিরে এসে পাবে পূর্বের ভালোবাসা সম্মান ?
জন্মবধি যে না জানিল না চিনিল কেবা তার পিতা ,
এইবৃদ্ধ পিতার অসময়ে পরিচয় মেনে নেবে কি তা ?
তাই সেই পিতার বৃদ্ধাবাস অন্তিমেরই আশ্রয় দাতা ,
মা'র প্রতি অবিবেচনা অবহেলা সন্তান মানবেনা তা ।
***************
রাত্রি - ৯ : ২০ মিনিট !
১৩ /০৬ / ২৩ মঙ্গলবার !
রবীন্দ্রনগর = মেদিনীপুর !