নদীমাতৃক দেশ আমাদের গতি বোঝা না যায় ,
কখনোও  জোয়ার ভাটা কখনোও উজানে বয় ।
কোথাও গভীর জল কোথাও  হাঁটু জল বয়ে যায়  ,
স্নানের ঘাটে সাঁতার কাটে ছেলে দল জল ছিটায়  ।

নদী তীরে কাশবন ফুলে ফুলে হয়ে যায় সাদা ,
জলের ধারে সারি সারি সাদা বক মাছ ধরে সেথা  ।
মেছোনীরা জ্বাল দিয়ে ছেঁকে ছেঁকে মাছ ধরে সেথা ,
পাটাদিয়ে ধোপানী কাপড় কাচে ধোপ সাদা সাদা  ।

পানকৌড়ী স্নান করে নদী জলে দিয়ে সদা ডুব  ,
মাছরাঙা বৌ ঠোঁট দিয়ে মাছ ধরে ডুবে কুব কুব ।
হংস মিথুন খেলে সাঁতার কাটে সেথায় নদী জলে ,
হাঁসের ছানারা নদীর ধারে গেঁড়ি শামুক খায় তুলে ।

নদীতে আসে যায় ঢেউ মনে তারে রাখেনা কেউ  ,
নদীর বুকের উপর ভাসে প্লাবনের কতই না  নৌ ।
নদীর ঘাটে স্নান সেরে ঘরে আসে গৃহস্থের সব বৌ ,
কলস কাঁখেতে করে জল ভরতে যায় আবার  কেউ  ।

স্মৃতির নৌকার ঘাটে পালতোলা স্মৃতির পটে  ,
অতীতের স্মৃতিগুলি ভেসে ঠেকে  মনোঘাটে ।
ভেসে আসে স্মৃতির তরী কত স্মৃতি মনে করি ,
অতীতের দিনগুলি আর কি আসবে আবার ফিরি ।

            ***************
সন্ধ্যা - ৫ : ১৫ মিনিট  ।
০২ / ১১ / ২৪ শনিবার  ।
রবীন্দ্রনগর  = মেদিনীপুর।